কাবুলে হামলায় ১২ মার্কিন সেনা নিহত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে দুটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১২ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2021, 07:40 PM
Updated : 26 August 2021, 10:09 PM

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা এটিই প্রথম। নিহতরা মার্কিন মেরিন ও নৌবাহিনীর সেনা বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে কাবুলে বিমানবন্দরের এবি গেইটের বাইরে ভিড়ের মধ্যে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ব্যারন হোটেলের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি প্রাথমিকভাবে হতাহতদের মধ্যে মার্কিন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক থাকার কথা জানিয়েছিলেন। হামলায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা।

১১ দিন আগে তালেবানের হাতে পতন হওয়া আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুল থেকে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিমান যোগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩১ অগাস্টের চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

বাইডেন গত এপ্রিলেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ৩১ অগাস্টের মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও পরে কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে উদ্ধারের জন্য সেখানে আরও অনেক সেনা পাঠান।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে প্রায় ৫ হাজার ২শ মার্কিন সেনা। দেশ ছাড়ার চেষ্টায় হাজার হাজার আফগানও মরিয়া হয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা করছেন প্রতিদিন।

এই নাজুক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস সেখানে হামলা চালাতে পারে বলে খবর আসছিল গত কয়েক দিন ধরেই। কাবুল বিমানবন্দর সন্ত্রাসী হামলার ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছিল বুধবার। এই সতর্কতার পরই সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হল।

রয়টার্স বার্তা সংস্থা এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দৃঢ় ধারণা, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইসিস-কে) কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান দুইই আইসিস-কে বিরোধী।