কিন্তু হাজার হাজার আফগানের গন্তব্য কোথায়?
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশত্যাগ করা আফগান নাগরিকদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি।
বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, ব্যবসায়ী এবং যাদের বিদেশ যাওয়ার গ্রহণযোগ্য ছাড়পত্র রয়েছে তারাই কেবল সীমান্ত পেরোতে পারছেন।
শুক্রবার জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) একজন মুখপাত্র বলেন, “আফগানদের বড় একটা অংশই স্বাভাবিক উপায়ে দেশ ছাড়তে পারছে না। এখনও যারা বিপদে আছে তাদের বেরোনর কোনো পথ নেই।”
বলা হচ্ছে, তালেবান কাবুল দখলের পর কয়েক হাজার নাগরিক পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে। এছাড়া দেড় হাজার আফগান উজবেকিস্তানে প্রবেশের পর সীমান্তের কাছে তাঁবুতে বাস করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবুলের হাজারো মানুষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় দেশে চালু থাকা একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ছুটছেন।
কতজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন?
বহু বছরের সংঘাত আর অস্থিরতার পর সম্প্রতি ঐতিহাসিক এক প্রস্থান দেখছে আফগানিস্তান।
তালেবান আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্যে পড়ে এবছর সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
দেশের ভেতরেই আনুমানিক ৩৫ লাখ আফগান বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি আফগান সীমান্তে গত বছর ২২ লাখ শরণার্থী প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয়ের সন্ধান করেছে।
এ বছর প্রায় সারাদেশেই তীব্র খরা আর খাদ্য সংকটও দেখা গেছে। গত জুনে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ খাদ্যাভাবে রয়েছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।
আফগান শরণার্থীরা কোথায় যাচ্ছে?
গত বছর সবচেয়ে বেশি আফগান শরণার্থী দেখেছে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ইরান।
এছাড়া জার্মানি এক লাখ ৮০ হাজার এবং তুরস্ক এক লাখ ৩০ হাজার মানুষকে আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে।
অন্য দেশে আশ্রয় চেয়েও পায়নি এমন এক লাখ ২৫ হাজার আফগান আশ্রয় পেয়েছে তুরস্কে, জার্মানিতে ৩৩ হাজার এবং গ্রিসে ২০ হাজার।
তবে ইরানে কোনো আফগান নাগরিককে আশ্রয় চাইতে দেখা যায়নি। কারণ দেশটিতে শরণার্থী কার্ড পেলেই স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার সুবিধা পাওয়া যায়।
বেশ কিছু দেশ আফগানিস্তানের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয় দিলেও অনেক দেশই তা দেয়নি বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।