তালেবান বিদ্রোহীদের দ্রুত অগ্রগতির মুখে নিজেদের সেনাবাহিনীর প্রধান পরিবর্তন করেছে আফগানিস্তান।
Published : 12 Aug 2021, 10:35 AM
এখন দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে অন্তত নয়টি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বুধবার কান্দাহার ও গজনি শহরে তীব্র লড়াই চলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এদিন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারপন্থি বাহিনীগুলোকে উজ্জীবিত করতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে গিয়েছিলেন। এই শহরটির তালেবান বিরোধিতার ঐতিহ্য আছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়ালি মোহাম্মদ আহমদজাইকে অপরসারণ করা হয়েছে বলে বুধবার বিবিসিকে নিশ্চিত করা হয়েছে। জুন থেকে তিনি এই পদে ছিলেন।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে আফগানিস্তানে হাজারেরও বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
আশরাফ গনি বুধবার মাজার-ই-শরিফে শহরটির রক্ষার বিষয়ে স্থানীয় উজবেক জনগোষ্ঠীর যুদ্ধবাজ নেতা আব্দুল রশিদ দোস্তাম ও বিশিষ্ট তাজিক নেতা আত্তা মোহাম্মদ নুরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
“তালেবান বেশ কয়েকবার উত্তরদিকে এসেছিল কিন্তু প্রতিবারই তারা ফাঁদে পড়েছে,” অভিজ্ঞ সেনাপতি দোস্তামকে উদ্ধৃত করে তিনি এমনটি বলেছেন বলে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে গনি বছরের পর বছর ধরে দোস্তামকে একপাশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছেন, কিন্তু এখন প্রয়োজন পড়ায় তিনি তাদের কাছে ফিরেছেন বলে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে গনি সরকারপন্থি মিলিশিয়াদেরও অস্ত্র দিতে রাজি হন।
মাজার-ই-শরিফের অবস্থান উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তের কাছে। তালেবানের হাতে এই শহরটির পতন হলে পুরো উত্তর আফগানিস্তান বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
উত্তরাঞ্চলের আরেকটি প্রদেশের রাজধানী কুন্দুজে কয়েকশ সরকারি সৈন্য তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তালেবান শহরটির দখল নেওয়ার পর তারা পিছু হটে শহরটির বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছিল।
বুধবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর গজনির কেন্দ্রস্থলে তালেবান বিদ্রোহীরা ঢুকে পড়ার পর সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই চলছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের রাস্তায় রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে বলে রেডক্রস জানিয়েছে। তালেবান শহরটির কারাগার দখলের দাবি করেছে, তবে তা নিশ্চিত হয়নি।
রেডক্রসের মহাপরিচালক রবার্ট মারদিনি জানিয়েছেন, হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গায়ের হাসপাতালগুলো ‘মৃতদেহ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে’।
বিভিন্ন অঞ্চলে দুই পক্ষের এসব লড়াইয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বিমান বাহিনী দেশটির বিভিন্ন স্থানে তালেবান অবস্থানে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: