বৃহস্পতিবার তারা এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি টোকিওর অলিম্পিক আয়োজনেও ছায়া ফেলেছে। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৈশ্বিক এ ক্রীড়াযজ্ঞ রোববার শেষ হওয়ার কথা।
বুধবার জাপানের এ রাজধানীতে ৪ হাজার ১৬৬ নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৭ জনে; যে হারে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে তাতে এই সংখ্যা ১০ লাখ পেরোতে সময় লাগবে না বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।
“সংক্রমণ বাড়ছে অভাবনীয় গতিতে। হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি ভয়াবহ,” গুরুতর কোভিড রোগীর সংখ্যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে জানিয়ে বলেছেন জাপানের অর্থমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অনেকে জাপানজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির পক্ষে বলছেন, সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন নিশিমুরা।
জাপানের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনও দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় দেশটির কর্তৃপক্ষ আগেই টোকিওসহ ৬টি প্রশাসনিক কাঠামোতে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করে। এর পাশাপাশি আরও ৫টি প্রশাসনিক কাঠামোতে দেওয়া হয়েছিল ‘আধা-জরুরি অবস্থা’।
বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ এ বিধিনিষেধের আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা রোববার থেকে কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অলিম্পিক গেইমসের আয়োজকরা বৃহস্পতিবার খেলা-সংশ্লিষ্ট নতুন ৩১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তের খবর নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অলিম্পিক সংশ্লিষ্ট কোভিড রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩৫৩তে।