কোভিড-১৯: শুধু গুরুতর রোগীদেরই হাসপাতালে পাঠাবে জাপান

কোভিড-১৯ এ গুরুতর অসুস্থ এবং যারা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন শুধু তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি নেবে জাপান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2021, 07:29 AM
Updated : 3 August 2021, 07:29 AM

করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাকি রোগীদের বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

অলিম্পিকের আয়োজক শহর টোকিওতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে চাপে পড়া চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত জানালো দেশটির কর্তৃপক্ষ; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে প্রতিদিন ১০ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। শনিবার টোকিওতে রেকর্ড ৪০৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা স্বাস্থ্যনীতিতে এই পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে বলেন, বাসায় আইসোলেশনে থাকা লোকজন প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে সরকার এই নিশ্চিয়তা দিচ্ছে।

আগের নীতিতে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বহু ধরনের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারতো।   

এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাতাসুনোবু কাতো জানিয়েছেন, বয়স্ক লোক, যাদের অধিকাংশই টিকা নিয়েছেন, কম আক্রান্ত হচ্ছেন।

“অপরদিকে তরুণদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আর ৪০ ও ৫০ ঊর্ধ্বদের মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত কিছু লোকও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারায় বাসায় থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন,” বলেছেন তিনি।  

সরকারের এই নীতি পরিবর্তন আরও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।  

বিরোধীদল জাপানের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা ইউকিও এদানো বলেছেন, “তারা এটিকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা বলছে কিন্তু আদতে এটি বাড়িতে ফেলে রাখা।”

সোমবার নিকটবর্তী আরও তিনটি প্রিফেকচারকে রাজধানী টোকিওতে জারি করা জরুরি অবস্থার আওতায় এনেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ওসাকায়ও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। টোকিও ও ওকিনাওয়ায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

জাপান এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ধ্বংসাত্মক প্রাদুর্ভাব এড়াতে পেরেছে। দেশটিতে প্রায় নয় লাখ ৩২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মহামারীতে রোববার পর্যন্ত ১৫ হাজারের কিছু বেশি লোক মারা গেছে।

কিন্তু দেশটিকে এখন করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

টোকিওর দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, রোববার পর্যন্ত হাসপাতালগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ শয্যা গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীতে ভর্তি হয়ে ছিল।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী, গুরুতর অসুস্থ রোগী বলতে তাদের বোঝানো হচ্ছে যাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা বা কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দরকার।