ওমান উপকূলে ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলা, ইরানকে দুষছে ইসরায়েল

আরব সাগরের ওমান উপকূলে একটি তেলের ট্যাংকারে হামলা ও দুই ক্রু নিহতের ঘটনায় ইরান দায়ী বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2021, 04:44 AM
Updated : 31 July 2021, 04:44 AM

নিহত দুই ক্রু’র একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, অন্যজন রোমানিয়ার।

ইসরায়েলের এ অভিযোগ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার হামলার শিকার হওয়া এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি পরিচালনা করে লন্ডনভিত্তিক কোম্পানি জোডিয়াক মেরিটাইম।

ইসরায়েলি বিলিয়নেয়ার আইয়াল ওফারের মালিকানাধীন এ কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ওমান ঊপকূলে কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছে।

তবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ শুক্রবার ওই ঘটনার জন্য ‘ইরানের সন্ত্রাসকে’ দুষেছেন।

“ইরান কেবল ইসরায়েলের সমস্যা নয়। বিশ্ব চুপ থাকতে পারে না,” বিবৃতিতে বলেছেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল অভিযোগ করলেও লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী, জাপানি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ট্যাংকারটিতে কীভাবে হামলা হয়েছিল, তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

হামলায় ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছিল বলে কিছু কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হলেও ওই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কী ঘটেছিল তা বের করতে কাজ করছেন তারা।

“আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নৌযানের অবাধ চলাচলের সুযোগ থাকা উচিত,” বিবৃতিতে বলেছেন তিনি।

শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে জোডিয়াক মেরিটাইম দুই ক্রু’র মৃত্যুর ঘটনায় ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আরও কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছে তারা।

লাপিদ জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। ট্যাংকারে হামলার প্রসঙ্গটি জতিসংঘে তোলা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইরানের আরবিভাষী একটি টেলিভিশন চ্যানেল অনামা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইরানের একটি মিত্র গোষ্ঠীর ওপর ‘ইসরায়েলি হামলার’ পাল্টায় ট্যাংকারে এ হামলা চালানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে তেল আবিব চোখ বুজে থাকতে পারবে না।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওমানের মাসিরাহ দ্বীপের কাছে হওয়া ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটিকে এখন ‘যৌথ বাহিনী’ সহায়তা দিচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় তারা ‘বেশ উদ্বিগ্ন’। ঘটনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে বলেছে তারা।

তানজানিয়ার দার আস সালাম থেকে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ট্যাংকারটি হামলার মুখে পড়ে।

ঘটনার সময় জাহাজটিতে কোনো কার্গো ছিল না বলে জানিয়েছে জোডিয়াক মেরিটাইম।