জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে দু’সপ্তাহেরও কম সময়ে অন্তত ১৮৫ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, নানজিংয়ে নতুন কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তা এরই মধ্যে চীনের রাজধানী বেইজিংসহ পাঁচটি প্রদেশে ছড়িয়ে গেছে।
‘উহানের পর এটিই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ব্যাপক মাত্রার সংক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ভাইরাসের এই দ্রুত বিস্তারের জন্য ডেল্টা ধরনকেই দায়ী করা হচ্ছে।
নানজিংয়ের লুকোউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন কর্মী আন্তর্জাতিক একটি উড়োজাহাজ পরিষ্কার করার সময় যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার মাধ্যমেই সেখানে ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ‘শূন্যে নামিয়ে আনা’র চীনা নীতির জন্য দেশজুড়ে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ডেল্টা ধরন।
চীনের দ্য গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, নানজিং থেকে সব ফ্লাইট স্থগিত রাখা হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার মুখে কোভিড শনাক্ত করতে নানজিংজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষা কর্মসূচিও শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।
কর্তৃপক্ষ কোভিড পরীক্ষার পাশাপাশি শহরের বাসিন্দাদেরকে মাস্ক পরা, সামাজি দূরত্ব মেনে চলাসহ অন্যান্য সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। কোভিড পরীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাস এখন রাজধানী বেইজিং এবং চেংডুসহ অন্তত ১৩ টি নগরীতে ছড়িয়ে গেছে।
তবে গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলেছে, ভাইরাসের বিস্তার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেই মনে করছেন তারা। নানজিংয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোভিড শনাক্ত হওয়াদের ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়ায় চীনের স্যোশাল মেডিয়ায় অনেকেই ডেল্টা ধরন মোকাবেলায় চীনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ডেল্টায় যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের টিকা নেওয়া আছে কিনা তা জানা যায়নি।
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়ে চীন এর রাশ টেনে ধরতে অনেকটা সফলও হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে সরকারি হিসাবে শনাক্তের সংখ্যা কম রয়েছে। মাঝে মাঝে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করামাত্র ত্বরিৎ নানা পদক্ষেপ নিয়ে চীন ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখে আসছে।