আলোচনা হয়েছে শান্তিপ্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। বুধবার তালেবানের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
তালেবান মধ্যস্থতাকারী ও উপনেতা মোল্লা বারাদর আখন্দের নেতৃত্বে চীন সফর করছে প্রতিনিধিদলটি। আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের অগ্রযাত্রার মধ্যে দলটির ঊর্ধ্বতন নেতার এটিই প্রথম চীন সফর।
সফরকালে বৈঠক প্রসঙ্গে তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম টুইটারে বলেছেন, “আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা, শান্তিপ্রক্রিয়া এবং দু’দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।”
তিনি জানান, চীন কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণেই তালেবান এই সফর করেছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ চীনা দূতের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে।
চীনের তিয়ানজিন শহরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদলের দেখা করার বিষয়টি চীন সরকারের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে উভয়পক্ষের বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বুধবার বলেছেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে দেশের পুনর্গঠন এবং শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তালেবান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
আফগানিস্তানে সহিংসতা বাড়ার এই সময়ে তালেবান চীন সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকাপোক্তভাবে স্বীকৃতি লাভের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। সেখানে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মাসে তালেবান প্রতিনিধিদল ইরানও সফর করেছে। সেখানে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে নিরাপত্তা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনেরও সীমান্ত আছে। সীমান্ত এলাকার অনেক ক্রসিং তালেবান দখল করে নিচ্ছে। একের পর এক জেলাও তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। কাতারে শান্তি আলোচনা চললেও তাতে তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম এক টুইটে বলেন, “প্রতিনিধিরা চীনকে আশ্বস্ত করে বলেছে, আফগানিস্তানের মাটি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না।”
“চীনও আফগানদেরকে সহায়তা করে যাওয়া অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বলেছে, তারা আফগানিস্তানের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, তবে দেশটির সমস্যা সমাধানে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।”