তিউনিসিয়ায় ‘অচলাবস্থার’ অবসানে সংলাপ চায় প্রধান ইসলামী দল

তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক ‘অচলাবস্থা’ কাটিয়ে উঠতে বিক্ষোভ পরিহার করে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান ইসলামী দল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2021, 06:29 AM
Updated : 28 July 2021, 06:29 AM

সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে রোববার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত করেন দেশটির সেনা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট কায়িস সায়িদ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে সমর্থকদের রাস্তায় নামার ডাক দিলেও সোমবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যমপন্থি ইসলামি দল এন্নাহদা মুভমেন্ট।

দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের অব্যস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রোববার রাস্তায় নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করে প্রেসিডেন্ট কায়িস সায়িদ ঘোষণা দেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনাই তার লক্ষ্য।

পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল এন্নাহদা মুভমেন্টসহ অপর তিনটি বড় রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্টের নেওয়া এই পদক্ষেপকে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করে।

তবে সোমবার এক বিবৃতিতে এন্নাহদার পক্ষে বলা হয়, “রাষ্ট্রদ্রোহ এবং আত্মকলহের ডাক প্রতিহত করতে তিউনিসিয়ার জনগণকে নিজেদের মধ্যে একতা ও সংহতি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

দলের সমর্থকরা যেন পার্লামেন্টের বাইরে আবারও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা না হয় অঙ্গসংগঠনগুলোর মাধ্যমে সে আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ পরিহারের কথাও বলা হয়েছে।

এন্নাহদার দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দলের জ্যেষ্ঠ কিছু নেতা রাস্তায় অবস্থানের পক্ষে থাকলেও শান্ত অবস্থানে থেকে যেকোনো ধরনের অস্থিরতা এড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রেসিডেন্ট সায়িদ এবং এন্নাহদার সমর্থকদের সংঘর্ষ হলেও মঙ্গলবার সকালে সে জায়গাটি খালি ছিল। দলটির সমর্থকরা সোমবার বিকালে ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি।

এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিউনিসিয়ার শ্রমিক সংগঠন ও প্রভাবশালী নাগরিক সংগঠনগুলো প্রেসিডেন্ট সায়িদকে ‘একটি অংশগ্রহণমূলক রোডম্যাপ’ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 

প্রেসিডেন্ট সায়িদকে অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বাধীনতা ও সম্মানের বিপ্লব হিসেবে অভিহিত তিউনিসিয়ার বিপ্লবের সমস্ত অর্জনকে রক্ষা করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।”

বিবৃতিতে তিউনিসিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন লেবার ইউনিয়নও স্বাক্ষর করেছে। দেশটিতে এই সংগঠনের ১০ লাখ সদস্য রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যকে ওলটপালট করে দেওয়া ‘আরব বসন্তের’ সময় ২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসন থেকে বেরিয়ে আসে তিউনিসিয়া।