নরওয়ের আকাশে উল্কার ঝলকানি, চলছে উল্কাপিন্ডের খোঁজ

এমন ঘটনা সচরাচর খুব কমই ঘটে। অস্বাভাবিকরকমের বড় আকারের একটি উল্কার ঝলকানিতে আলোকিত হয়েছে নরওয়ের রাতের আকাশ।

>>রয়টার্স
Published : 26 July 2021, 05:46 PM
Updated : 26 July 2021, 07:53 PM

রোববার ক্ষণিকের জন্য নরওয়ের দক্ষিণের আকাশে এই আলোর ঝলকানি এবং এর সঙ্গে জোরাল শব্দও শোনা গেছে।

আকাশ থেকে উল্কাপিণ্ড খসে কোথায় পড়েছে তার খোঁজে এরই মধ্যে নেমে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, রাজধানী অসলোর কাছেই কোনও বনে গিয়ে পড়েছে উল্কাপিণ্ড।

বিরল এই উল্কাপাতের ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে উল্কা জ্বলে উঠতে দেখা যাওয়ার খবর আসতে শুরু করে। উত্তরদিকে অনেক দূরের শহর ট্রোন্ডহেইম থেকেও উল্কার আলো দেখতে পেয়েছেন অনেকে।

অসলোর দক্ষিণে হোলমেস্ট্র্যান্ডে একটি ওয়েব ক্যামেরা উল্কাপাতের ভিডিও ধারণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, আকাশে হঠাৎ একটি আগুনের গোলা জ্বলে উঠেছে এবং এর আলোর বিচ্ছুরণে আলোকিত হয়ে উঠেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা।

নরওয়ের উল্কাপাত বিষয়ক একটি নেটওয়ার্কের সদস্যরা ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখে উল্কার উৎপত্তি এবং এর গন্তব্য কোথায় তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রাথমিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নেটওয়ার্কটি জানিয়েছে, অসলো থেকে ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ফিনিমার্কা বন এলাকায় উল্কাখন্ড আঘাত হেনে থাকতে পারে।

উল্কার আলো ও শব্দ শুনতে পাওয়া এক বাসিন্দা এবং উল্কা নেটওয়ার্কের সদস্য মরটেন নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনায় বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য এক ঘটনা’।

তিনি বলেন, “রোববার বিকাল পর্যন্ত এমন কোনও ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি, যাতে করে উল্কাপাত ঠিক কোথায় হয়েছে তা বলে দেওয়া যায়। স্থানটি খুঁজে পেতে দশ বছরও সময় লেগে যেতে পারে।”

মরটেন জানান, উল্কাখন্ডটি সেকেন্ডে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে এসে রাতের আকাশ পাঁচ থেকে ছয় সেকেন্ডের মতো আলোকিত করে রেখেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ উল্কাপাতের সময় তীব্র বাতাসের ঝটকাও অনুভব করেছিলেন, বড় ধরনের উল্কাপাতের সময় এমন বায়ুচাপ হয়।

যে উল্কাখন্ড দেখা গেছে সেটি মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝের মহাকাশের একটি প্রস্তরখন্ড হতে পারে ধারণা প্রকাশ করেন মরটেন।

এর আগে ২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক নগরীর কাছে ঘটেছিল আকাশ থেকে জ্বলন্ত উল্কাখন্ড পতনের ঘটনা। ওই উল্কাপাতে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়াসহ আহত হয়েছিল ১২শ’ মানুষ।