স্থানীয় সময় রোববার বিকালের এ ঘটনায় শহরটিতে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয় বলে সিএনএন জানিয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, প্লাবনের কারণে সেন্ট্রাল লন্ডনকে ঘিরে থাকা প্রধান সড়কগুলোর অন্যতম নর্থ সার্কুলার রোড যান চলাচলে ‘মারাত্মক ব্যাঘাত’ ঘটে।
লন্ডনের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ রেল স্টেশন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
রাস্তায় রাস্তায় যানবাহন আটকা পড়ে থাকে আর এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভ্রমণ না করতে লোকজনকে সতর্ক করেন নগরীটির কর্মকর্তারা।
সিএনএনকে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের (টিএফএল) মুখপাত্র বলেছেন, “এই ব্যাপক বন্যায় পুরো পরিবহন নেটওয়ার্কজুড়ে সেবা বিঘ্নিত হয়েছে।”
টিএফএলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, টিউব নামে পরিচিত রেল নেটওয়ার্কের বহু স্টেশন বন্ধ রাখতে হয়েছে।
টিএফলের ওই মুখপাত্র বলেছেন, “অনেকগুলো বাস রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে, কিছু টিউব ও রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে ও কয়েকটি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।”
বৃষ্টির কারণে লন্ডনের দুটি হাসপাতাল, নিউহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও হুয়িপস ক্রস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটেছে।
এই হাসপাতাল দুটির জরুরি বিভাগ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জরুরি রোগীদের অন্য হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ জানায় তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওয়েস্টার পার্ক এলাকায় পানির মধ্যে গাড়ি আটকা পড়ে আছে আর উদ্ধারকর্মীরা নৌকা নিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
এক টুইটে লন্ডনের দমকল বাহিনী জানিয়েছে, লন্ডনের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যা সংক্রান্ত ছয়শরও বেশি কল পেয়েছেন তারা। এসব কলে রাস্তা ও বাড়ি ডুবে যাওয়া, ছাদ ভেঙে পড়া ও পানিতে গাড়ি আটকে থাকার খবর জানিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়।
ওয়েস্টারপার্ক এলাকা থেকে গাড়িতে আটকা পড়া পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার লন্ডন ও ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড তাপমাত্রার পর রোববার এসব এলাকাগুলোতে বজ্রঝড়সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।