হেবডেন ব্রিজ এলাকার ছেলে জুড বলেন, পদব্রজে লন্ডনে পৌঁছে কার্বনের ওপর করারোপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপ করতে চান।
‘কার্বন নিঃসরণ শুন্যে নামিয়ে আনা’ বিষয়ক প্রচার সংগঠন গত ফেব্রুয়ারিতে কার্বন কর নিয়ে পার্লামেন্ট বিতর্কের আহ্বান জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছে।
ব্রিটিশ সরকার বলছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৭৮ শতাংশ কমাতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবিসি জানায়, ‘ডায়ার প্রেডিকশন’ শীর্ষক একটি বই পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন জুড। তিনি বলেন, বইয়ে কার্বন করসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান করার নানা উপায় বাতলে দেওয়া আছে।
বইটির পর জুড ওই পিটিশনও পড়েছেন। তিনি বলেন, “আমি চাই পিটিশনে এক লাখ সই পড়ুক। এতে পার্লামেন্টে কার্বন কর নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে।”
“এতে করে জীবাশ্ম ও নবায়ন-অযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে বেশি খরচ পড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের মাথায় আসবে এবং তারা তখন এর পরিবর্তে সবুজ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের কথা চিন্তা করবে।”
পরিবেশের সঙ্গে করের সংযোগ এবং বিশেষত কার্বন করের উপকারিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সরকার।
বালক জুড হেঁটে রাজধানী লন্ডন যাওয়ার বুদ্ধি পেয়েছেন তার চাচার বন্ধুর কাছ থেকে, যিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গোটা বিশ্বে সাইকেল চালিয়েছেন।
“শরণার্থীদের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে সিসিলি থেকে ইংল্যান্ডে সাইকেল চালিয়ে আসা ছেলেটার ব্যাপারেও পড়েছি আমি,”বলেন জুড।
২১ দিন ধরে প্রতিদিন ১০ মাইল (১৬ কিলোমিটার) হাঁটার পরিকল্পনা করেছেন জুড। তার মতো অন্যান্য শিশুরাও এতে উৎসাহ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জুডের মা সারাহ বলেন, তাদেরকে একটি ক্যাম্পারভ্যান ধার দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এ যাত্রায় লোকজনের সঙ্গে থাকছেন। ছেলের বিষয়ে সারাহ বলেন, “সে খুবই দৃঢ়চেতা।”