বন্যার পর এবার চীনে টাইফুন ইন-ফা

টাইফুন ইন-ফার কারণে চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাই ও পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, পাতাল রেল চলাচল সীমিত বা স্থগিত করা হয়েছে এবং দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2021, 09:04 AM
Updated : 25 July 2021, 09:04 AM

চীনের আবহাওয়া প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় দেশটির পূর্ব উপকূলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের ঝৌশান শহরের পুতুও এলাকা দিয়ে টাইফুন ইন-ফা স্থলে উঠে আসে।

টাইফুনটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দেশটির আবহওয়া প্রশাসন জানিয়েছিল। ইন-ফার বাতাসের বেগ প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৩৮ মিটার বলে জানিয়েছেন তারা। রয়টার্সের হিসাবে যা ঘণ্টায় ১৩৭ কিলোমিটারে প্রায় সমান।

ইন-ফা দুপুরের মধ্যে ঝেজিয়াংয়ের উপকূল ধরে উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে সাংহাই পার হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশে পৌঁছে যাবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। 

“জনগণের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নেবো আর দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখতে সবকিছু করবো। কারও যেন মৃত্যু না হয় ও আহতদের সংখ্যাও যেন কম হয় এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতিও যেন সীমিত থাকে সেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করবো,” শনিবার টাইফুন মোকাবেলার প্রস্তুতি দেখতে এসে বলেছিলেন ঝেজিয়াং প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি ইউয়ান জিয়াজুন।

ঝেজিয়াংয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ শনিবার সর্বোচ্চ মাত্রার টাইফুন সতর্কতা জারি করে স্কুল ও মার্কেট বন্ধ করে দেয় প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তায় যান চলাচলও বন্ধ করে।

দুই কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দার শহর সাংহাই ও এর দক্ষিণপশ্চিমের হাংঝৌ নগরী শনিবার থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং অঞ্চল দুটির অনেক ট্রেন সার্ভিসও বন্ধ রাখা হয়েছে।

চীনের মধ্যাঞ্চল এখনও রেকর্ড বন্যায় ভাসছে। বন্যায় সেখানে অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই দেশটি এবার টাইফুনের কবলে পড়ল।