সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি: নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট বাড়াচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া টানা কয়েকদিন কোভিড-১৯ এ রেকর্ড মৃত্যু দেখার পর আরও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2021, 07:49 AM
Updated : 25 July 2021, 07:49 AM

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, রোববার তা শেষ হচ্ছে।

এরপর সরকার এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াবে না শিথিল করবে, তা জানতে এখন অপেক্ষা চলছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটে ইন্দোনেশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ায় কোভিড-১৯ এর উপকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে; দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ জাভার হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে রোগীর উপচে পড়া ভিড়।

“বেশ কয়েকটি কারণে মৃত্যু বাড়ছে। এগুলো হল- হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ, ভর্তি হওয়া রোগীদের (অক্সিজেন) স্যাচুরেশন খুবই কম, নিরীক্ষণের বাইরে অনেকে সেলফ-আইসোলেশনেও মারা যাচ্ছেন,” শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লুহুত পানজাইতান।

জাভা এবং বালি দ্বীপে কোভিড-১৯ মোকাবেলা কর্মকাণ্ড দেখভালের দায়িত্বে থাকা লুহুত জানান, যেসব এলাকায় বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে আরও আইসিইউ ইউনিট যুক্ত করা হচ্ছে।

সমুদ্রসৈকত ও মন্দিরের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বালি এখন কোভিড রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত সপ্তাহের চারদিন ইন্দোনেশিয়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড দেখেছে। শুক্রবার দেশটি এক হাজার ৫৬৬ জনের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেছে।

মহামারী শুরুর পর দেশটিতে কেবল সরকারি হিসেবেই কোভিডে মোট মৃত্যু ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত পেরিয়েছে ৩১ লাখ।

তবে এই সংখ্যা প্রকৃত আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে কম বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

দেশটির ২৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ শতাংশেরও কম লোক ভ্যাকসিনের দুই ডোজ পেয়েছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ দেশটি প্রধানত চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের বানানো টিকার ওপরই নির্ভরশীল।

সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে সেখানে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো দরকার নাকি বিধিনিষেধ শিথিল করা উচিত, তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এখনই বিধিনিষেধ শিথিলের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও চাকরিদাতাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া না হলে গণহারে ছাঁটাই দেখা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে।

রোববার বিধিনিষেধ নিয়ে দেশটির সরকারের সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও, সেটি কখন হবে তা ঠিক হয়নি।