অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ, বহু গ্রেপ্তার

অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপ করা লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2021, 03:13 PM
Updated : 24 July 2021, 03:13 PM

দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনিতে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়, তুলনায় মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে প্রতিবাদকারীর সংখ্যা কম ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সিডনির কেন্দ্রস্থল ধরে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা ‘স্বাধীনতা’ বলে শ্লোগান দেয়। এখান থেকে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নতুন সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটায় দেশটির কয়েকটি রাজ্যে ফের লকডাউন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য সরকারগুলো।

আগে সীমান্ত বন্ধ, কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম ও স্থানীয়ভাবে সংক্ষিপ্ত লকডাউন আরোপ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগমণে ওই কৌশল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার টিকাদানের হার এখনও সর্বনিম্ন, দেশটির জনসংখ্যার ১৪ শতাংশেরও কম টিকার আওতায় এসেছেন।

শনিবার কয়েক হাজার লোক সিডনির কেন্দ্রস্থল হেমার্কেটের একপাশ দিয়ে মিছিল করে যায়। এর কিছুক্ষণ আগে এলাকাটিকে কোভিড ‘হটস্পট’ ঘোষণা করেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারীদের কারও কারও হাতের প্ল্যাকার্ডে ‘মাস্ক ফেল, কণ্ঠ জোরালো কর’ ও ‘অস্ট্রেলিয়া জেগে ওঠ’ লেখা ছিল। তারা মিছিল নিয়ে সিডনি টাউন হলের সামনে জড়ো হয় ও রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এখানে অশ্বারোহী পুলিশের দিকে বোতল ছুড়ে মারে একদল বিক্ষোভকারী। 

এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, “এনএসডব্লিউ পুলিশ বাহিনী নাগরিক ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর বাক স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকারকে স্বীকার ও সমর্থন করে, কিন্তু আজকের প্রতিবাদ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য আদেশ লঙ্ঘন করেছে।” 

মেলবোর্নেও তুলনায় ছোট একটি প্রতিবাদ হয়েছে। এখানে লোকজন পার্লামেন্ট হাউসের সামনে আগুন জ্বালায়। ব্রিসবেনের বোটানিক গার্ডেনেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় অর্ধেক জনগন অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ লোক ফের লাকডাউনের আওতায় চলে গেছে।

সিডনি চার সপ্তাহ ধরে লকডাউনে থাকলেও সেখানে নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার নগরীটিতে রেকর্ড ১৬৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন এনএসডব্লিউর কর্মকর্তারা।

জনস হপকিন্স বিশ্বদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৫৯৪ জন এবং তাদের মধ্যে ৯১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।