অন্তত ৮ সপ্তাহের জন্য এই ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে শুক্রবার রাত থেকেই।
অকল্যান্ডে সাংবাদিকদের নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেছেন, “আমরা সবসময়ই বলেছি যে, ভাইরাস বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পদক্ষেপেরও বদল ঘটবে। এই সিদ্ধান্ত আমরা হালকাভাবে নেইনি। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডকে নিরাপদ রাখতে এটি সঠিক সিদ্ধান্ত।”
দুই দেশের মধ্যকার এই ‘ট্রাভেল বাবল’ অর্থাৎ, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধমুক্ত যাতায়াত ব্যবস্থা এরই মধ্যে বন্ধ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য থেকে যাওয়া-আসা করা ভ্রমণকারীদের জন্য।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অনেক দেশই সীমান্ত প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে রাখার এ সময়ে এশিয়ায় এই ‘ট্রাভেল বাবল’ বিরল এক কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের মধ্যে এমন একটি ট্রাভেল বাবল চালুর পরিকল্পনা কয়েকবারই পিছিয়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিলে কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ চালু হয়। এ ব্যবস্থায় ভ্রমণকারীদের কোভিড পরীক্ষারও দরকার পড়ত না। কিন্তু এ মাসে নিউ জিল্যান্ড ভ্রমণকারীদের জন্য কোভিড পরীক্ষার নিয়ম চালু করেছে। এতে অস্ট্রেলীয়দের জন্য ভ্রমণের খরচ বেড়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে নতুন করে দেওয়া লকডাউনের কবলে পড়েছে। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সিডনি এবং মেলবোর্নে লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এই দুই বৃহত্তম নগরী কবে খুলবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আরেক রাজ্য সাউথ অস্ট্রেলিয়াও লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া, দেশটিতে ডেল্টা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেও গতি পায়নি টিকাদান কর্মসূচি। টিকা পেয়েছে ১৫ শতাংশেরও কম মানুষ।