ইরানের কর্মকর্তারা তাপদাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়াকে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য দায়ী করেছেন।
তাছাড়া, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং অবৈধ ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’কারখানাগুলোর অঢেল বিদ্যুৎ খরচ করাকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “আমি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, যারা গত কয়েকদিনে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন ও ভোগান্তিতে পড়েছেন।”
“আমি তাদেরকে (বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে) সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। জনগণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে অভিযোগ করেছেন এবং তাদের অভিযোগ সঠিক।”
রুহানি আরও বলেন, “এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কোনও দোষ নেই... কিন্তু মন্ত্রীর উচিত জনগণকে সমস্যার কারণ বোঝানো এবং আমাদের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও পানি না থাকায় বিভিন্ন শহরের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও প্রতিবাদ রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। মানুষ ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’, ‘খামেনি নিপাত যাক’, স্লোগান দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে আগাম কোনও ঘোষণা দেয়নি বলে জানানো হয়েছে ইরানের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা পোস্টে।
ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানায়, দেশের মানুষ বিদ্যুতের অভাবে নানা ভোগান্তির শিকার হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি না থাকায় ঝামেলায় পড়তে হয়েছে অনেককে।
এছাড়াও, বিদ্যুৎ না থাকায় পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্রিজ না চলায় নষ্ট হয়েছে নানারকম খাবার।