জম্মু-কাশ্মীর নেতাদের সঙ্গে মোদীর বৈঠক, মর্যাদা ফেরানোর আশ্বাস

জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলোপের পর এই প্রথম সেখানকার নেতাদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ রাজ্যের পূর্ণ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2021, 04:58 PM
Updated : 24 June 2021, 04:58 PM

১৪ জন কাশ্মীরী নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবারের মুখোমুখি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য।

জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেখানে তিনবছরের সরাসরি শাসনের অবসান ঘটতে পারে- এমন জল্পনার মাঝেই অনুষ্ঠিত হল এ বৈঠক।

কাশ্মীরের ৮ টি রাজনৈতিক দলের নেতাও বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এই নেতারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ফেরত চাইবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্থানীয় দলগুলোর কর্মকর্তারা।

সে অনুযায়ী, দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

এনডিটিভি জানায়, তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে মোদী এ ব্যাপারে নেতাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা সঠিক সময়েই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

২০১৯ সালের অগাস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুইটি আলাদা আঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করেছিল ভারতের মোদী সরকার।

যার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে বিক্ষোভ হয়। সেখানকার বহু রাজনৈতিক নেতা এবং বিক্ষোভকারী সে সময় গ্রেপ্তার হন। বিক্ষোভ দমনে মাসের পর মাস কাশ্মীরে যোগাযোগের উপর নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা ছিল। তাই এবারে মোদীর সঙ্গে কাশ্মীরের নেতাদের বৈঠকের লক্ষ্য ৫ অগাস্ট ২০১৯ এর আগে কাশ্মীরের যে অবস্থান ছিল তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।

বৈঠকে গণতন্ত্র আরও জোরদার করা এবং নির্বাচন প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন করাতে চায় কেন্দ্র। পাশাপাশি সেখানকার বিধানসভা আসনগুলোর পুনর্বিন্যাস করতেও আগ্রহী মোদী সরকার।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক শেষে এক টুইটে বলেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর ডিলিমিটেশন বা নির্বাচন কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস এবং শান্তিপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনই হচ্ছে প্রতিশ্রুত স্বায়ত্তশাসন ফেরানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

আরেকটি টুইটে তিনি বলেন, “বৈঠক খুবই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেকেই গণতন্ত্র এবং সংবিধানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এবং বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে জোরাল করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”