ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো আকিনোর মৃত্যু

ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো আকিনোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2021, 10:20 AM
Updated : 24 June 2021, 12:59 PM

“আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বেনিগনো নয়নয় আকিনো তৃতীয় ঘুমের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। ডায়াবেটিসজনিত কারণে রেনাল ফেইলরে সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি মারা যান বলে মৃত্যুসনদে বলা হয়েছে,” পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এই বিবৃতিটি পড়ে শোনান বেনিগনোর জীবিত চার বোনের একজন পিংকি আকিনো আবেলাদা।

সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় শোক জানিয়েছে; ফিলিপিন্সের নাগরিকদেরকে প্রার্থনা করতেও অনুরোধ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার ম্যানিলার একটি হাসপাতালে ভর্তির কিছু সময় পর ৬১ বছর বয়সী বেনিগনোর মৃত্যুর খবর মেলে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তিনি ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

ফিলিপিন্সের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক মারভিস লিওনেন এক বিবৃতিতে বেনিগনোর মৃত্যুর খবর জানান।

“খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজ সকালে আমি সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনো আকিনোর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তার অধীনে দায়িত্ব পালন ছিল সম্মানের। তাকে মনে পড়বে,” এক বিবৃতিতে বলেন তিনি।

২০১২ সালে বেনিগনোই মারভিসকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

বেনিগনো’র মা কোরাজন আকিনো-ও ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বিপুল জনপ্রিয় ‘পিপল পাওয়ার’ নেতা কোরাজন ২০০৯ সালে মারা যান।

মায়ের মৃত্যুর পর বিপুল জনসমর্থনের উপর ভর করে ২০১০ সালে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট হন ‘নয়নয়’ নামে সুপরিচিত বেনিনো।

সাবেক এ প্রেসিডেন্টের বাবার নামও বেনিগনো আকিনো; ফিলিপিন্সের স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের কট্টর বিরোধী এ সেনেটর ১৯৮৩ সালে রাজনৈতিক নির্বাসন থেকে দেশের ফেরার পর খুন হন। 

ওই হত্যাকাণ্ড সমগ্র ফিলিপিন্সকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল, ভূমিকা রেখেছিল ১৯৮৬ সালে ‘পিপল পাওয়ার’ বিপ্লবে, যা মার্কোসকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতাতেই কোরাজন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিগনোর মৃত্যুর পর ম্যানিলার সেনেট ভবনে পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোসের মেয়ে সেনেটর ইমি মার্কোস।

১৯৮৭ সালে কোরাজন প্রশাসনের বিরুদ্ধে হওয়া এক অভুত্থানচেষ্টার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বেনিগনো; আমৃত্যু ওই বুলেটের ক্ষত বহন করতে হয়েছে তাকে। সেবার বেনিনোর শরীরে ৫টি গুলি লেগেছিল, তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ৩ দেহরক্ষীও নিহত হয়েছিলেন।