হংকংয়ে কঠোর নিরাপত্তা আইনে প্রথম বিচার শুরু

হংকংয়ে চীনের চালু করা বিতর্কিত কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে প্রথম বিচার কোনও জুরি ছাড়াই শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2021, 11:23 AM
Updated : 23 June 2021, 11:23 AM

বিবিসি জানায়, এ আইনে হংকংয়ের ‘স্বাধীনতা’ লেখা ব্যানার উড়ানো এবং বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে তোং ইং-কিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিচারে ইং-কিটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তার বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দেওয়া এবং সন্ত্রাসের অভিযোগও আছে। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইং-কিট।

হংকংয়ে ২০১৯ সালে গণতন্ত্রপন্থিদের দফায় দফায় গণবিক্ষোভের পর চীন সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে। চীনের ভাষ্য, এই আইনে নাশকতামূলক কোনও কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করতেই করা হয়েছে এ আইন। আন্তর্জাতিক মহলে আইনটির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু হংকং এবং বেইজিং কর্তৃপক্ষ বলছে, হংকংয়ে স্থিতিশীলতা আনার জন্য এ আইন গুরুত্বপূর্ণ।

আইনটির আওতায় গত বছর ১ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় ইং-কিটকে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি একদল পুলিশের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দিয়েছেন। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। এ সময় ইং-কিট একটি পতাকা বহন করছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘হংকং স্বাধীন কর’, ‘আমাদের সময়ের বিপ্লব’ লেখা স্লোগান।

ওই সময়ে বিক্ষোভকারীদের কাছে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল এটি। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এমন শ্লোগান অবৈধ বলে গণ্য। বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতামূলক কাজ এবং বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাতও এ আইনে অপরাধ হিসাবে গণ্য।

আইনটিতে কেউ অভিযুক্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ সাজায় যাবজ্জীবন জেল দেওয়ার বিধান আছে। কঠোর এই আইনে ইং-কিটের বিচার কোনও জুরি ছাড়াই শুরু হওয়ায় এটি স্পষ্ট যে, হংকং তার আগের বিচার ব্যবস্থা থেকে দ্রুতই সরে আসছে।