পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সময়সীমা এখনও ১১ সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত আছে। তবে তা পরিবর্তন হতে পারে।
পেন্টাগন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে বলেছেন, সেনা প্রত্যাহার প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই দেশটিতে তালেবান জঙ্গি সহিংসতা অনেক বেড়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, গতমাসে তালেবান জঙ্গিরা হামলা জোরদার করেছে এবং ৩০ টিরও বেশি জেলার নিয়ন্ত্রণ করায়ত্ব করেছে।
বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও তালেবান দখল করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। অনেক সেনাকেও তারা হত্যা, জখম করেছে এবং আটক করেছে।
তবে আফগান সরকারের মুখপাত্র ওই জেলাগুলো তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রণকৌশলের অংশ হিসাবে এলাকাগুলো খালি করা হয়েছে। লড়াইয়ে কত তালেবান নিহত কিংবা আহত হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
তালেবান গোষ্ঠী বলছে, গোটা উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কেবল প্রাদেশিক রাজধানী সরকারের হাতে আছে।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তালেবান জঙ্গিদেরকে পিছু হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গত রোববার উত্তর-পূর্বের তাখার প্রদেশের দুটো জেলা পুনর্দখল করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেছেন, “তালেবান এই সমস্ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জেলায় জেলায় অভিযান, সহিংসতা এখনও ঘন ঘনই চলতে থাকায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।”
“সেনা প্রত্যাহারের গতি যদি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় কিংবা যে কোনও দিন বা যে কোনও সপ্তাহে যদি তা করার সুযোগ থাকে তাহলে আমরা চাই তা যেন সেই অনুযায়ী নড়চড় করা যায়।”
তিনি বলেন, “আমরা সর্বক্ষণই এদিকে নজর রাখছি, প্রতিটি দিনই আমরা দেখছি মাঠ পর্যায়ে পরিস্থিতি কেমন, আমাদের কী সক্ষমতা আছে, আফগানিস্তান থেকে বের হতে আর কী কী আমাদের লাগবে এবং কোনও গতিতে লাগবে।”