ওই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতারা মোদীর কাছে রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসন ফেরত চাইবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দলগুলোর কর্মকর্তারা।
ভারতে মুসলমান অধ্যুষিত একমাত্র রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর। দশকের পর দশক ধরে চেষ্টা করেও সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে পারেনি দিল্লি সরকার। ভারতের অভিযোগ, প্রতিবেশী পাকিস্তান কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদের উস্কানি ও মদদদাতা। যদিও পাকিস্তান সরকার সব সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
২০১৯ সালের অগাস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুইটি আলাদা আঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করে মোদী সরকার।
যার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে বিক্ষোভ হয়। বহু নেতা এবং বিক্ষোভকারী সে সময় গ্রেপ্তার হন। বিক্ষোভ দমনে মাসের পর মাস কাশ্মীরে যোগাযোগের উপর নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা ছিল।
কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা মেহবুবা মুফতি রোববার তার সহকর্মীদের বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ৫ অগাস্ট ২০১৯ এর আগে কাশ্মীরের যে অবস্থান ছিল তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”
মেহবুবার সঙ্গে ওই অনলাইন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের দুই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানান।
দলের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের শীর্ষ নেতারা গত সপ্তাহের শেষে বৈঠক করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে আগের মত একটি রাজ্য এবং এর বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই তিন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা আমাদের এই দুই দাবি উত্থাপন করব।”
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে মঙ্গলবার পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারা বৈঠক করবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের আগের অবস্থান ও মর্যাদা ফিরে পেতে মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের সব দল মিলে গত বছর একটি জোট গঠন করেছে।
মঙ্গলবার জোটের অন্যান্য দলের নেতাদেরও ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বলেন জানিয়েছেন পিডিপি মুখপাত্র সোহেল বুখারি।