বরা‌দ্দের তিন গুণ টিকা তাইওয়া‌নে পাঠাল‌ যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা তাইওয়ানে বরাদ্দের তিন গুণ বেশি ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার কোভিড টিকা অনুদান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

>>রয়টার্স
Published : 20 June 2021, 04:29 PM
Updated : 20 June 2021, 04:29 PM

চীনের সঙ্ড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহে ‌‘টিকা কূটনীতির’ আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এর আগে তাইওয়ানকে সাড়ে ৭ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও শেষ মুহূর্তে বাইডেন প্রশাসন এই সংখ্যা বাড়িয়েছে।

চীনা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইটে টিকার এই চালান রোববার তাইওয়ানে পৌঁছেছে। তাইওয়ানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং সেখানকার শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা বিানবন্দরে এই টিকা সাদরে গ্রহণ করেছেন।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইন ওয়েনও টিকার এই চালান পেয়ে তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেছেন। ‘দুঃসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু’, বলেছেন তিনি।

ওদিকে, তাইওয়ানে অবস্থিত আমেরিকান ইন্সটিটিউট- ডি ফ্যাক্টো মার্কিন দূতাবাস- বলেছে, “এই অনুদান তাইওয়ানের প্রতি এক বিশ্বস্ত বন্ধু এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।”

“প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেমনটি বলেছেন যে, আমরা অন্য দেশগুলোর কাছ থেকে আনুকূল্য লাভের জন্য আমাদের টিকা ব্যবহার করব না। বরং কোনওখানে মহামারীর অবসান ঘটাতে আমরা সেবা হিসাবে এই টিকার ভাগ দেব।”

ওয়াশিংটনের এ টিকা সহায়তা মহামারী মোকাবেলায় স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রচেষ্টায় গতিসঞ্চার করবে। তাছাড়া, চীনের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে এই টিকার চালান তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ মনে করে। ওদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও কূটনৈতিক বন্ধন না থাকলেও চীনের রোষের মুখে যুক্তরাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ দ্বীপদেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক।

সাম্প্রতিক সময়ে দৈনিক শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে তৎপর তাইওয়ানে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলের মতোই টিকার ঘাটতি আছে। দ্বীপটির ২ কোটি ৩৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে টিকা পাওয়া নাগরিকদের সংখ্যা এখন তিন শতাংশের কাছাকাছি, যাদের বেশিরভাগই আবার পেয়েছেন কেবল প্রথম ডোজ।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উদ্যোগ থেকে কোভিড টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেইজিং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তাইওয়ান বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে। তবে চীন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।