ইরান-ইসরায়েল; মধ্যপ্রাচ্যের চিরবৈরী দুই দেশ। গত শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন দেশটির কট্টরপন্থি বিচারক ইব্রাহিম রাইসি। শনিবার রাইসিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ।
রাইসি ইরান সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন। আগামী অগাস্টে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানায় বিবিসি।
ওদিকে সরকার ব্যবস্থায় দীর্ঘ দুই বছরের অচলাবস্থা কাটিয়ে সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দেশটির কট্টরপন্থি নেতা নাফতালি বেনেট।
ইরান সম্পর্কে বেনেট বলেন, ইরানের ‘বর্বর জল্লাদ শাসকরা’ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। রোববার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠকে বেনেট বলেন, ‘‘কাদের সঙ্গে কাজ করছেন এটা বুঝতে আন্তর্জাতিক মহলের জন্য এটাই শেষ সুযোগ।
“জল্লাদদের রাজত্ব চলছে এমন একটি দেশের হাতে কখনওই গণবিধ্বংসী অস্ত্র তুলে দেওয়া উচিত হবে না।”
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ‘ছায়া যুদ্ধ’ চলছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধ ‘ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হবে’ নীতিতে চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উভয় দেশই সত্যি কারের যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আবার চড়ছে। নানা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সংকট রয়েছে। যার অন্যতম ইরানের পরমাণু কার্যক্রম।
ইরানের দাবি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য তারা তাদের পরমাণু কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল ইরানের এই দাবি একদমই বিশ্বাস করে না। তাদের বিশ্বাস, ইরান গোপনে পরামণু অস্ত্র তৈরির কাজ করছে।
বাকি বিশ্ব কী বলছে?
ইব্রাহিম রাইসিকে বিজয়ী ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভাল প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক’ রয়েছে।
সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও শুভেচ্ছা ও সমর্থন জানিয়ে একই ধরনের বার্তা পাঠিয়েছে।
গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস সরকার থেকেও ইরানের ‘উন্নতি ও সমৃদ্ধি’ কামনা করা হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকে রাইসির নির্বাচিত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।