দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ সত্ত্বেও হাফতার তার ভূমিকা বজায় রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নিজের বাহিনী মোতায়েন করেন, তারপর রোববার তারা ওই সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানাল।
হাফতারের অনুগত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) গত সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেবহায় সৈন্য পাঠায়। এর আগে থেকেই শহরটি পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তুলেছিল। সেবহায় সৈন্য পাঠানোর পর শনিবার আলজেরিয়ার সঙ্গে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত ক্রসিংয়ে সেনা মোতায়েন করেছিল তারা।
এলএনএর গণমাধ্যম শাখা মোরাল গাইডেন্স ডিপার্টমেন্ট বলেছে, “সশস্ত্র বাহিনী লিবিয়া-আলজেরিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটিকে একটি সামরিক বলয় বলে ঘোষণা করেছে যেখানে চলাচল নিষিদ্ধ।”
আলজেরিয়া ও লিবিয়ার মধ্যে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার সীমান্ত আছে যার অধিকাংশই জনবসতিহীন মরুভূমি। এই সীমান্তে অল্প কয়েকটি ক্রসিং আছে।
ত্রিপোলি দখলের লক্ষ্যে ১৪ মাস ধরে আক্রমণ পরিচালনা করে ব্যর্থ হওয়ার পর গত বছর বেকায়দায় পড়েছিল হাফতার।
এক দশক ধরে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা চলার পর লিবিয়ায় একটি রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিতে ছেয়ে যাওয়া দেশটির অধিকাংশ এলাকা এখনও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে।