প্রায় চার মাস ধরে চলা এ প্রাদুর্ভাবে ওই অঞ্চলের ১৬ জন ইবোলায় আক্রান্ত হন আর তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
শনিবার গিনির রাজধানী ক্রোনাক্রিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেমি লামাহ বলেন, “আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গিনিতে ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।”
এ সময় প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এনজেরেকোরে অনলাইনে ওই সংবাদ সম্মেলন দেখতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও আফ্রিকার আরেক দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় (ডিআরসি) ইবোলা প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। ভাইরাসজনিত এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর, শরীর ব্যাথা, ডায়রিয়ার পাশাপাশি মারাত্মক রক্তক্ষরণ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। আক্রান্তের শরীর থেকে বের হওয়া তরলের মাধ্যমে ইবোলার সংক্রমণ ছড়ায়।
আগের প্রাদুর্ভাব থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গিনির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো এবার ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, “২০১৪-১৬ এর প্রাদুর্ভাব থেকে পাওয়া শিক্ষার ভিত্তিতে দ্রুত, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে গিনি প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের সীমান্তের বাইরে রোগটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পেরেছে।”
২০১৪-১৬ পর্বের ইবোলা প্রাদুর্ভাবে ১১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল গিনি, সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়ার বাসিন্দা।
ওই সময় পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশগুলোতে ২৪ হাজার ইবোলার টিকা পাঠিয়েছিল ডব্লিউএইচও। ওই অঞ্চলের প্রায় ১১ হাজার লোককে এসব টিকা দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৮০০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্য কর্মী ছিলেন।