ইসরায়েলের সঙ্গে টিকা বিনিময় চুক্তি বাতিল করলো ফিলিস্তিন

মেয়াদোত্তীর্ণ হতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। তাই ইসরায়েলের কাছ থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্তত ১০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা ‍না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিন।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2021, 08:12 AM
Updated : 19 June 2021, 08:40 AM

বিবিসি জানায়, শুক্রবার ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কার্যালয় থেকে একটি টিকা বিনিময় চু্ক্তির অধিনে ফিলিস্তিনকে ফাইজারের ওই টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, তাদের এখন আর ওই টিকার দরকার নেই। ফিলিস্তিনের টিকাদান কার্যক্রমের গতি বাড়াতে তাই তারা ওই টিকা তাদের দেবে।

বিনিময়ে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষও ফাইজারের কাছ থেকে তাদের টিকার যে চালান পাওয়ার কথা রয়েছে তা থেকে একই পরিমাণ টিকার ডোজ ইসরায়েলকে দিতে হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আলকাইলা বলেন, ওই টিকাগুলোর মেয়াদ আগামী জুলাই অথবা অগাস্ট মাসে শেষ হয়ে যাবে বলে তারা জানিয়েছেন। টিকাগুলো কবে নাগাদ পৌঁছানো সম্ভব বললে তারা জুন মাসের কথা বলেন।

‘‘সেক্ষেত্রে ওই টিকাগুলো ব্যবহারের জন্য আমরা পর্যাপ্ত সময় পাব না। তাই আমরা সেগুলো গ্রহণ না কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইব্রাহিম মেলহেম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘টিকার মেয়াদোত্তীর্ণর তারিখ ঘনিয়ে আসায় ফিলিস্তিন সরকার সেগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

‘‘আমরা বরং তার বদলে সরাসরি ফাইজারের কাছে টিকার যে অর্ডার দিয়েছি সেগুলো আসার অপেক্ষা করবো।”

কোভিড-১৯ টিকার একটি মেয়াদ আছে। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো আর ব্যবহার করা যায় না। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনই মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নষ্ট করে না ফেলার পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে, মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরও টিকার কার্যকারিতা থাকে কিনা তা নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা চলছে।

ফাইজারের কয়েকলাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পরই ইসরায়েল দেশটির প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। অন্যদিকে, পশ্চিম তীর ও গাজায় মাত্র এক ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ ফিলিস্তিনি, বলছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।