যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সংলাপ বা সংঘাতের’ জন্য কিমের প্রস্তুতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ বা সংঘাত- উভয় পরিস্থিতির জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রস্তুত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2021, 05:14 AM
Updated : 18 June 2021, 05:29 AM

বৃহস্পতিবার রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন নিয়ে এটাই কিমের প্রথম মন্তব্য। কিমের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আালোচনার পথ উন্মুক্ত থাকার প্রথম ইঙ্গিত বলে মনে করে বিবিসি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার নিজ দল ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ওই বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনের উত্তর কোরিয়া নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং নিজের পর্যবেক্ষণ জানান কিম।

বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নুতন প্রশাসনের সঙ্গে কাজের ‘উপযুক্ত কৌশল এবং কৌশলগত প্রতিরোধের’ বিস্তারিত পরিকল্পনার কথাও জানান।

বৈঠকে কিম বলেন, ‘‘আমাদের দেশের সম্মানের সুরক্ষার্থে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।

‘‘উত্তর কোরিয়া যেকোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ মনযোগ দেবে।”

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনায় ঠাসা। পরমাণু অস্ত্র তৈরিসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়াংয়ে এ সপ্তাহে শুরু হওয়া বৈঠকে কিম তার দেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কিমের সঙ্গে তার কথার লড়াই একদিকে যেমন যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। তেমনি দুই নেতা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার জন্য সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামে ঐতিহাসিক বৈঠক করেছিলেন। যদিও ওই দুই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উত্তেজনার আঁচ পাওয়া গেছে।

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণরে পর এক বিবৃতিতে বাইডেন উত্তর কোরিয়াকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ বলে বর্ণনা করেন।

জবাবে উত্তর কোরিয়া থেকেও ক্ষুব্ধ মন্তব্য করা হয়। বলা হয়, বাইডেনের ওই মন্তব্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি তাদের ‘বৈরী নীতি অব্যাহত থাকার’ কথাই বলছে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন তাদের উত্তর কোরিয়া নীতি নিয়ে একটি পার্যালোচনা বৈঠক শেষ করেছে। বৈঠক শেষে কর্মকর্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রর চূড়ান্ত লক্ষ্য কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করা।