শীতল সম্পর্কের মধ্যে জেনিভায় বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্মেলনে এক হন পুতিন ও বাইডেন। এরপর আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলনে এলেও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে বলে জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা পুতিন তার দেশে বিরোধী মত একেবারে সহ্য করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেনিভায় সংবাদ সম্মেলনে পুতিনকে পেয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সাংবাদিকরা এই বিষয়টি নিয়ে ছেঁকে ধরেন তাকে।
বিবিসি জানায়, কানাডার এক নারী সাংবাদিক তার ৯ বছরের মেয়ের মনে জাগা একটি প্রশ্ন করেন রুশ প্রেসিডেন্টকে।
প্রশ্নটি ছিল- রাশিয়ায় কেন তরুণ-যুবকরা বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার পায় না?
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর উত্তর দিতে গিয়ে পুতিন ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ার কথা বলতে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে ওই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান তিনি।
এই প্রশ্নের পর আর কোনো প্রশ্ন না নিয়েই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেন পুতিন।
এর আগে এবিসি নিউজের এক সাংবাদিক পুতিনকে প্রশ্ন করেছিলেন রাশিয়ায় বিরোধী মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকা নিয়ে।
এই নারী সাংবাদিক বলেন, “যদি আপনার বিরোধী নেতাদের কেউ নিহত হয়, কেউ কারাগারে থাকে, কাউকে বিষ প্রয়োগ করা হয়, তা কি তবে এই বার্তাই দেয় না যে আপনি কোনো কিছু রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে চান না?”
বিবিসি জানায়, এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গত নির্বাচনের পর গত ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে হামলার বিষয়টি দেখিয়ে দেন পুতিন।
তিনি বলেন, “মানুষ দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল, রাজনৈতিক দাবি নিয়ে কংগ্রেস ভবনে ঢুকে পড়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটেছিল, তাতে আমরা ব্যথিত, তবে এমনটা রাশিয়ায় ঘটুক, তা আমরা চাই না।”
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন জানান, বৈঠকে বাইডেন হোয়াইট হাউজে যাওয়ার আমন্ত্রণ তাকে জানাননি।
পুতিনও মস্কোতে বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানাননি।