জেনিভা বৈঠক: রাষ্ট্রদূতদের ফেরাতে রাজি বাইডেন-পুতিন

প্রত্যাহার করে নেওয়া রাষ্ট্রদূতদেরকে আবার একে অপরের দেশে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

>>রয়টার্স
Published : 16 June 2021, 05:12 PM
Updated : 16 June 2021, 07:10 PM

এ বছরের শুরুতে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির মধ্যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছিল।

জেনিভায় বুধবার প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের নেতার আলোচনায় প্রাধান্য পায় এই রাষ্ট্রদূত ফেরানোর বিষয়টিও। আর তাতেই একমত হন তারা।

বৈঠকটি দীর্ঘ ৪/৫ ঘণ্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত চার ঘণ্টার কম সময়েই বৈঠক শেষ করেছেন বাইডেন ও পুতিন।

বৈঠকের পর আলাদা আলাদাভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন দুই নেতা। পুতিন প্রথমে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন। বৈঠক খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে, কোনও বৈরি মনোভাব ছিল না এবং একে অপরকে বোঝার আগ্রহও দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জো বাইডেনকে একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার পূর্বসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সহিংসতা ও মানবাধিকার নিয়ে তিনি সমালোচনা করেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়ায় জেলবন্দি মার্কিন নাগরিকের প্রসঙ্গ টেনেছেন বলে জানান পুতিন। তিনি বলেন, বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি ‘আপোসরফা’ হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে বৈঠকে দুইপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করে যেতে রাজি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দৃঢ় গলায় কথা বললেও কণ্ঠে ছিল কিছুটা সম্প্রীতির সুর। বাইডেন বলেন, তিনি রাশিয়া কিংবা অন্য কারও বিরুদ্ধে নন। তিনি কেবল আমেরিকার জনগণের জন্য কাজ করছেন।

বাইডেনের কথায়, “আমাদের মধ্যে যেখানেই মতবিরোধ থাকুক, আমি চাই পুতিন এটা বুঝুন যে, আমি কেন বলছি, কী বলছি এবং কেন করছি, কী করছি। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছি, আমার এজেন্ডা রাশিয়া বা আর কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি কেবলই আমেরিকার জনগণের জন্য।”

বৈঠকের পুরো আলোচনাই খুব ভাল এবং ইতিবাচক হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দুইজনের সংবাদ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বাইডেন ও পুতিন দুইজনই বলেছেন, “দুই দেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এমনকী উত্তেজনার সময়েও তারা অভিন্ন লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।”

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন দুই নেতা।