মহামারী, টাইফুনের কারণে খাদ্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে: কিম

উত্তর কোরিয়ার সর্বিক অর্থনীতির উন্নতি হলেও করোনাভাইরাস মহামারী ও গত বছরের টাইফুনের কারণে খাদ্য পরিস্থিতি ‘কঠিন’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2021, 06:59 AM
Updated : 16 June 2021, 06:59 AM

তিনি এ পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-র ভাষ্য অনুযায়ী, অথনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রহণ করা প্রধান নীতি ও সেগুলো বাস্তবায়ন বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বৈঠকে হয়, এতে সভাপতিত্ব করেন কিম।

ফেব্রুয়ারিতে আগের বৈঠকে খাদ্য ও ধাতুর উৎপাদন বাড়ানোসহ নতুন পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বিভিন্ন লক্ষ্য ও কর্মসূচী নির্ধারণ করেছিল এ কমিটি।

কিম বলেছেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধে সার্বিক অর্থনীতির উন্নতি হয়েছে, মোট শিল্প উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি বাধার কারণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পার্টির উদ্যোগে ‘ধারাবাহিক বিচ্যুতি’ ঘটেছে। এর মধ্যে খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি টানটান অবস্থায় আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

বলেছেন, “গত বছরের টাইফুনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে কৃষি খাত তাদের শস্য উৎপাদন পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে না পারায় জনগণের খাদ্য পরিস্থিতিতে এখন চাপ পড়ছে।”

কেসিএনএ জানিয়েছে, ওয়ার্কার্স পার্টি চলতি বছর তাদের সব উদ্যোগ কৃষিকাজে নিয়োজিত করার ব্রত নিয়েছে এবং কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছে।

বৈঠকে গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে চলতি বছরের লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিম।

দীর্ঘস্থায়ী মহামারীর মধ্যে জনগণের খাদ্য, কাপড় ও বাসস্থানের যোগান দিতে পার্টির পদক্ষেপ আরও জোরালো করা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।  

জানুয়ারিতে কিম জানিয়েছিলেন, তার পূর্ববর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রায় সব খাতেই ব্যর্থ হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা, মহামারী ও বন্যার কারণে দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুৎ ও খাদ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে সেখানে কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেনি, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। কিন্তু তারপরও নিঃসঙ্গ এই রাষ্ট্রটি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কঠোর করোনাভাইরাস-বিরোধী পদক্ষেপ জারি করেছে।

দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে করোনাভাইরাস টিকা ভাগ নেওয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স’ উত্তর কোরিয়াকে প্রায় ২০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু আলোচনার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সরবরাহে বিলম্ব ঘটছে।