রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মঙ্গলবার পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের শোভাযাত্রা ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে। ওই শোভাযাত্রার জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই হুমকি দিয়ে আসছিল গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস।
ফিলিস্তিনি এলাকা থেকে বিস্ফোরক বেলুন ছোঁড়ার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, গাজা সিটি এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাসের সশস্ত্র স্থাপনায় হামলা করেছে তাদের যুদ্ধবিমান। তারা ‘সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে, গাজার ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলা নস্যাৎ করতে প্রয়োজনে আবারও লড়াই শুরু করা হবে’।
ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গাজা থেকে বেলুন পাঠানো হয়েছে, যেগুলো থেকে গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের উন্মুক্ত ক্ষেতগুলোতে অন্তত ২০টি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ইসরায়েলের আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের ‘সাহসী প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে এবং জেরুজালেমের ওপর তাদের অধিকার ও পবিত্র স্থানগুলো রক্ষা করবে’।
বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে, কয়েক হাজার ইসরায়েলি পতাকা হাতে শোভাযাত্রা করে জেরুজালেমের পুরাতন শহরের দামেস্ক গেট দিয়ে প্রবেশ করে করে এবং ইহুদিদের কাছে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত পশ্চিম দেয়াল স্পর্শ করে। তাদের এই কর্মসূচিতে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে।
মঙ্গলবারের এই শোভাযাত্রার আগে, হামাসের সম্ভাব্য রকেট হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম প্রস্তুত রাখে।
জেরুজালেমে রাত নামার পর শোভাযাত্রা শুরু হয়, কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে কোন রকেট ছোড়া হয়নি।
১০ মে, ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ব জেরুজালেম দখল করার বার্ষিকীতে এই শোভাযাত্রাটি হওয়ার কথা ছিল। ইসরায়েলিরা এই দিনটিকে ‘জেরুজালেম দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।