ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবে বহু শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা

ইয়েমেনের রাস আল-আরাহ এর লোহিত সাগর উপকূলে একটি নৌকা ডুবে বহু শরণার্থী মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 05:46 PM
Updated : 15 June 2021, 05:46 PM

বিবিসি জানায়, রাস আল-আরা উপকূল থেকে জেলেরা ২৫টি মৃতদেহ উদ্ধার পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

ইয়েমেনের এক প্রাদেশিক কর্মকর্তা জানান, দুই দিন আগে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ১৬০ থেকে ২০০ জন শরণার্থী ছিলেন। তারা সবাই হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (আইএমও) এক টুইটে প্রায় দুইশত শরণার্থী নিয়ে নৌকা ডুবে যাওয়ার এ খবর যাচাই করার কথা জানিয়েছে।

ইয়েমেনের সংবাদ সংস্থা এডেন আল-গাদ এর খবরে বলা হয়, সেখানে দেড়শতাধিক শরণার্থী ডুবে গেছেন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনের চার নাগরিকও আছেন, যাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

হর্ন অব আফ্রিকার দেশ জিবুতির বাব আল-মানদাব প্রণালীর ঠিক পূর্বে ইয়েমেনের রাস আল-আরা উপকূলরেখা মানবপাচারের জন্য খুবই ব্যবহৃত একটি পথ।

এই দুই উপকূলের মধ্যে মাত্র ২০ কিলোমিটার চওড়া সমুদ্র রয়েছে। এটি রেড সি কে এডেন উপসাগরের সঙ্গেও সংযুক্ত করেছে।

গত কয়েক বছরে হর্ন অব আফ্রিকার দেশ, বিশেষ করে ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইয়েমেনে আসছেন। তাদের মূললক্ষ্য ইয়েমেনের ধনী প্রতিবেশী সৌদি আরবে পৌঁছানো।

মানবপাচারকারীরা যেসব নৌকায় করে শরণার্থীদের নিয়ে সমুদ্রে ভেসে পড়েন সেগুলোর বেশিভাগেই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী থাকে। কোনো কোনোটির অবস্থা এতই জীর্ণ থাকে যে সেগুলো সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার উপযুক্তই নয়।

জীবন হাতে নিয়ে ইয়েমেনে পৌঁছানার পরও ওইসব শরণার্থীদের দুর্ভোগ শেষ হয় না। পাচারকারীরা তাদের ইয়েমেনে আটকে রেখে নির্যাতন করে তাদের পরিবারের থেকে আরো অর্থ আদায় করে বলে জানায় আইওএস।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবছর অবশ্য সমুদ্র পথে শরণার্থীদের ইয়েমেনে আসা কিছুটা কমেছে বলে জানায় আইওএম। তাদের তথ্যানুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ৫,১১০ শরণার্থী ইয়েমেন গেছেন। গত বছর যে সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার এবং তার আগের বছর এক লাখ ৭২ হাজারের মত।

কোভিড-১৯ মহামারীর বিস্তার রোধে সৌদি আরব সীমান্তে কড়াকাড়ি আরোপ করায় ৩২ হাজারের বেশি শরণার্থী এখনো ইয়েমেনে আটকা পড়ে আছেন। সেখানে তাদের খাবার, আশ্রয়, ওষুধ এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।