নেটোর বিরুদ্ধে অতিরঞ্জনের অভিযোগ চীনের

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট নেটো’র মহাসচিব চীনের হুমকি নিয়ে সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করার পর এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। নেটোর বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিতভাবে কথা বলার অভিযোগ করেছে তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 03:20 PM
Updated : 15 June 2021, 03:20 PM

চীনের শান্তিপূর্ণ অগ্রগতির বিরুদ্ধে নেটো অপবাদ ছড়াচ্ছে বলেও বেইজিং অভিযোগ করেছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করতে বলেছে চীনের হুমকি নিয়ে নেটোর অতিরঞ্জন।

সদ্য সমাপ্ত জি-৭ সম্মেলনে জোটভুক্ত দেশগুলো বিশ্ব জুড়ে বড়াতে থাকা চীনের প্রভাব প্রতিরোধে একাট্টা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার নেটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে চীনের উত্থান মোকাবেলার ডাক দিয়েছেন মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ।

নেটোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা সহ চীনের নানা কার্যকলাপ নিয়ম- ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।”

এই প্রথম নেটো চীনকে তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে সম্মেলন করেছে বলে জানায় বিবিসি। সোমবার ব্রাসেলসে একদিনের ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

চীনকে নিয়ে নেটোর বক্তব্যের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা মিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ‘স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা নীতিতেই’ নিজেদের প্রতিরক্ষা কৌশল সাজিয়েছে।

‘‘নেটোর বরং চীনকে নিয়ে না ভেবে নিজেদের আলোচনা সফল করতে আরও বেশি শক্তি ব্যয় করা উচিত। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ খুবই ন্যায়সঙ্গত, দায়িত্বশীল, উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ আচরণ।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবারই প্রথম নেটো সম্মেলনে অংশ নেন জো বাইডেন। ইউরোপের ৩০টি এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক জোট নেটো এতদিন রাশিয়াকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করত।

নেটোর সম্মেলন শেষে আগামী বুধবার জেনিভায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ করার কথা।

কেন চীনের প্রতি এত মনযোগ দিচ্ছে নেটো:

সোমবার নেটোর সম্মেলন শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং গোঁয়ার্তুমি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন এবং নেটোর আওতাভুক্ত এলাকার নিরাপত্তার উপর ক্রমাগত হুমকি হয়ে উঠছে।

‘‘প্রতিনিয়ত চীনের স্বচ্ছতার অভাব এবং অসত্য তথ্য দেয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।” নেটো প্রধান স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা নতুন করে কোনও স্নায়ু যুদ্ধে প্রবেশ করতে যাচ্ছি না। চীন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না, শত্রুও না।

‘‘কিন্তু চীন যেভাবে আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে, একটি জোট হিসেবে একাট্টা থেকে আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।”

বিশ্বের আধুনিকতম সেনাবাহিনীর একটি এখন চীনের হাতে। বর্তমানে চীনের সেনাবাহিনীর কাছেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। যে বাহিনীতে ২০ লাখের বেশি সেনা দায়িত্বে আছেন।