বিবিসি জানায়, ফিলিপিন্সে মাদকের বিরুদ্ধে দুতের্তের যুদ্ধ নিয়ে ২০১৮ সালে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিলেন বেনসুদা। এর পরপরই আইসিসি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ফিলিপিন্স।
মাদকবিরোধী যুদ্ধে ফিলিপিন্সের হাজার হাজার নাগরিক নিহত হয়। জাতীয় পরিসংখ্যানে ওই অভিযানে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো অনেকদিন থেকেই বলে আসছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট দুতের্তের মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, ফিলিপিন্স এখন আর আইসিসি’র সদস্য নয়। তাই তার সরকার কোনও আইসিসি তদন্তে সহযোগিতা করবে না। তবে মাদকবিরোধী অভিযানের শিকার যারা হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা আইসিসি তদন্ত আহ্বানের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
দুতের্তে সরকারের চালানো বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দা-সমালোচনা হয়ে এসেছে। জাতিসংঘও এ অভিযানের নিন্দা করেছে।
সোমবার বেনসুদা বলেন, ফিলিপিন্স সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছিল তাতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এমন মনে করার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে এবং এর ভিত্তিতে তিনি অপরাধ আদালতের বিচারকদেরকে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
ফাতু বেনসুদা মঙ্গলবারই প্রধান কৌঁসুলির পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ব্রিটিশ আইনজীবী করিম খান। বুধবার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বেনসুদা বিদায় নেওয়ার আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশের পুলিশ এবং তার সঙ্গে তৎপর অন্যান্যরা বেআইনিভাবে কয়েক হাজার থেকে লাখখানেক নাগরিককে ২০১৬ সালের জুলাই এবং ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হত্যা করেছে।
ওই সময়ে ফিলিপিন্স আইসিসি-তে ছিল। তাই সে সময়ে ফিলিপিন্সের চালানো মাদকবিরোধী অভিযানে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার এখতিয়ার আদালতের আছে বলেই মনে করেন বেনসুদা।
fatou-bensouda-150621-01.jpg
---এই ছবিটা বক্সে দেন
rodrigo-duterte-150621-02.jpg
এই ছবিটা--- দুতের্তে সরকারের চালানো বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দা-সমালোচনা হয়ে এসেছে। জাতিসংঘও এ অভিযানের নিন্দা করেছে।---এই প্যারার নিচে দেন