আগামী ১৬ জুন জেনিভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পুতিনের। এ নিয়ে পুতিন বলেছেন, বৈঠকটি রাশিয়া ও যু্ক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরুর পথে সহায়ক হবে এবং দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগেরও উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
এছাড়াও, তারা কৌশলগত স্থিতিশীলতা, লিবিয়া ও সিরিয়ার অবস্থা এবং পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করবেন। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বছর তাদের মধ্যে হওয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।
এজন্য বাইডেনের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, এর মাধ্যমে তিনি তার ‘পেশাদার মনভাব’ প্রদর্শন করেছেন। ওদিকে, হোয়াইট হাউজ থেকে বাইডেন-পুতিন বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়, বাইডেন র্যানসামওয়্যার হামলা নিয়েও পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন।
রাশিয়া সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা ওই হামলার পেছনে রয়েছেন বলে গত সপ্তাহে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রে এক কর্মকর্তা। পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়া কী ওই সাইবার হামলাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে প্রস্তুত আছে?”
জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি হলে রাশিয়ার আচরণ ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে। উভয় পক্ষকেই একই নিয়ম-কানুন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
পুতিন বলেন, ‘‘যদি আমরা অপরাধীদের বহিঃসমর্পণের বিষয়ে একমত হই তবে অবশ্যই রাশিয়া সেটা করবে। আমরা সেটা করব, তবে শুধুমাত্র তখনই যখন অন্য পক্ষও একই কাজ করবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেও একই বিষয়ে একমত হতে হবে এবং অপরাধীদের রাশিয়ার হাত তুলে দিতে হবে।
“এই মুহূর্তে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সব ধরনের সিস্টেম বন্ধ হয়ে গেলে সেটা সত্যিই খুবই কঠিন পরিস্থিতি ডেকে আনবে।”