জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর

ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জাতিকে একতাবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইয়েমিনা পার্টির এ নেতা বলেছেন, তার সরকার সব মানুষের জন্য কাজ করবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2021, 10:57 AM
Updated : 14 June 2021, 10:57 AM

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার এবং লাল ফিতার দৌরাত্ম কমানোই নতুন সরকারের অগ্রাধিকার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।।

রোববার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বিরোধীদের নতুন জোট সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের পর ভোটে ৬০-৫৯ ভোটের ব্যবধানে অনুমোদন পায় পরিবর্তনের এই সরকার।

এরপরই জোট সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নাফতালি বেনেট। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান হয়।

ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি অনুযায়ী, নতুন সরকারের প্রথম দুই বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বেনেট। তারপর পালা বদল হয়ে পরবর্তী দু’বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন ইয়েস আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদ।

আর ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন থাকবেন ডানপন্থি লিকুদ পার্টির প্রধান হয়ে এবং তিনি হবেন বিরোধীদলের নেতা। নেতানিয়াহু শুরু থেকেই নতুন জোট সরকারের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে মরিয়া ছিলেন।

রোববার তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি আবারও খুব শিগগিরই ক্ষমতায় ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। ক্ষমতা হারানোর পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা আবার ফিরব।’

অন্যদিকে, বেনেট ক্ষমতা নেওয়ার পর বলেছেন, “এটি শোকের দিন নয়। গণতন্ত্রে সরকার পরিবর্তন হয়, সেটিই হয়েছে।”

ইসরায়েলে কেউ যাতে আতঙ্কিত বোধ না করে সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বেনেট। উৎসব না করার জন্য সমর্থকদের আহ্বান জানিয়ে বেনেট বলেন, “অন্যের বেদনার মধ্যে নাচানাচি করবেন না। আমরা শত্রু নই। আমরা এক জাতির মানুষ।”

বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও মজবুত করার অপেক্ষায় আছেন বলে অভিনন্দনবার্তায় জানিয়েছেন।

তবে ইসরায়েলের এই নতুন সরকার নিয়ে আশাবাদী না ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছে, নেতানিয়াহু ও বেনেটের মধ্যে তারা কোনও পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন না।

বেনেট নিজেও উগ্র ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসা এই নেতা এ বিষয়ে নিজেকে নেতানিয়াহুর চাইতেও ‘কট্টর’ হিসেবে দাবি করে থাকেন।