জি-৭ সম্মেলনে চীনকে এক হাত, কোভিডের উৎসের তদন্ত দাবি

শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে চীনকে ভর্ৎসনা করেছেন জি-৭ সম্মেলনের নেতারা। একইসঙ্গে চীনে করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তারা।

>>রয়টার্স
Published : 13 June 2021, 04:39 PM
Updated : 13 June 2021, 06:52 PM

শিনজিয়াংয়ের বাসিন্দাদের মানবাধিকারকে সম্মান করা, হংকংয়ের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনও কাজ করা থেকে চীনকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা।

যুক্তরাজ্যে বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭ সম্মেলনের একটি খসড়া ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রের এই খসড়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে পড়েছে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। বিশ্ব জুড়ে যেভাবে চীনের প্রভাব বাড়ছে তাতে ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর একে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক নানা ঘটনার অন্যতম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এভাবে দিন দিন চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে তার দেশের প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই মনে করেন। তিনি চীনের ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার’ মোকাবেলা এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জি-৭ নেতারা বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মূল্যবোধের প্রচার চালাব, যার মধ্যে চীনকে মানুষের বিশেষ করে শিনজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো এবং হংকংকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার আহ্বান জানানোও রয়েছে।”

জি৭ নেতারা ‘তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন’।

তারা বলেন, ‘‘পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা এখনও খুবই উদ্বেগে আছি। সেখানকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে এমন কোনও কর্মকাণ্ডেরও আমরা ঘোর বিরোধিতা করছি।”

খসড়া ঘোষণাপত্রে করোনাভাইরাসের প্রকৃত উৎস খুঁজে বের করতে যথা সময়ে, স্বচ্ছভাবে, বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে এবং বিজ্ঞানের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দলকে দ্বিতীয় ধাপের গবেষণা কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

“গবেষণাগারগুলোতে আমাদের প্রবেশাধিকার নেই”, সাংবাদিকদের বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গবেষণাগারের দুর্ঘটনা থেকে নাকি প্রাকৃতিকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।