রোববার জি-৭ সম্মেলন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুতিনের সঙ্গে বাইডেন এই একমত প্রকাশ করেন।
পুতিন গত শুক্রবার এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সম্প্রতি কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে।
তার ওই কথার প্রতিক্রিয়ায় রোববার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি তিনি (পুতিন) ঠিকই বলেছেন। সম্পর্ক তলানিতে। আন্তর্জাতিক নিয়মবিধি অনুযায়ী তিনি কতটা সাড়া দেন তার ওপরই সম্পর্কের বিষয়টি নির্ভর করছে। তিনি অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মবিধি মানেননি।”
বাইডেন বলেন, তিনি নির্বাচনের আগেই পুতিনকে বলে দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপে রাশিয়ার নেতা জড়িত কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখবেন।
“আমি এটা খতিয়ে দেখেছি। সব গোয়েন্দা তথ্যই আমার কাছে আছে। তিনি ওইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আমি এর জবাব দিয়েছি এবং পরিষ্কার করে বলেও দিয়েছি যে আমি আবার জবাব দেব,” বলেন বাইডেন।
আগামী ১৬ জুন জেনিভায় জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসার কথা রয়েছে পুতিনের। বাইডেন বলেন, কোনও সংঘাতের জন্য এই বৈঠকে বসা নয়, বরং আমরা যেসব কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মনে করি না সেগুলো সমাধানের জন্যই বৈঠক করা।
বাইডেন জানান, স্নায়ুযুদ্ধযুগের দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো সামাল দেওয়ার জন্য পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করাটাই সবচেয়ে ভাল পন্থা বলে এখনও বিশ্বাস করেন তিনি।
বৈঠক থেকে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার পথ বের হয়ে আসবে- এমনটিই আশা করেন বলে জানান বাইডেন। আর নিজেদের উদ্বেগগুলো সম্পর্কেও বৈঠকে খুব সোজাসুজিভাবেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।