জাওয়াহিরি সম্ভবত জীবিত, আছেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে: জাতিসংঘ প্রতিবেদন

শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরিসহ জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান করছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2021, 01:25 PM
Updated : 6 June 2021, 01:25 PM

শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘের অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস মনিটরিং টিমের দ্বাদশ প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরি সম্ভবত জীবিত, কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা হয়তো এতটাই নাজুক যে তাকে ঘিরে প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না।

আল কায়েদার বিপুল পরিমাণ সদস্য এবং তালেবানের সঙ্গে থাকা উগ্রবাদী অনেক গোষ্ঠীই আফগানিস্তানের নানা অংশে গা ঢাকা দিয়ে আছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

২০১১ সালে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হলে আল কায়েদা জাওয়াহিরিকে তাদের শীর্ষ নেতা ঘোষণা করে। গত বছরের শেষভাগে অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠলেও সে খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এখন জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জাওয়াহিরি সম্ভবত বেঁচে আছেন এবং আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলের কোথাও লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা দেওয়া হল।

আল কায়েদার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে আছে বলে জানিয়েছে একাধিক সদস্য রাষ্ট্র; জঙ্গিগোষ্ঠীটির নেতৃত্বের মূল অংশটি এখন তাদেরই শাখা আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টে (একিউআইএস) যোগ দিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, বলা হয়েছে অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস মনিটরিং টিমের প্রতিবেদনে।

“সদস্য এক রাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাওয়াহিরি সম্ভবত জীবিত আছেন, কিন্তু তার অবস্থা এতটাই নাজুক যে তিনি প্রচারণায় হাজির হতে পারছেন না,” জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এভাবে বলা হলেও সদস্য রাষ্ট্রটির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আল কায়েদার ‘কোর গ্রুপের’ জন্য আফগানিস্তান আগের মতো নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে থাকবে কি না তা খতিয়ে দেখা এবং সম্ভব হলে নিরাপদ আশ্রয়টি যেন হাতছাড়া না হয় তা নিশ্চিত করাই জঙ্গিগোষ্ঠীটির নিকট ভবিষ্যতের কৌশল, বলছে অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস মনিটরিং টিম।

আল কায়েদার এ ‘কোর গ্রুপে’ আফগান বংশোদ্ভূত কেউ নেই, বেশিরভাগই হয় উত্তর আফ্রিকার, নয়তো মধ্যপ্রাচ্যের।

আল কায়েদা ও তালেবান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে এখন কদাচিৎ আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা হচ্ছে বলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিবেদনে ধারণা দেওয়া হলেও আফগান শান্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ আছে, বলছে সদস্য এক রাষ্ট্র।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একিউএস মূলত তালেবানের ছাতার নিচে থেকেই কান্দাগার, হেলমান্দ ও নিমরুজ প্রদেশে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হয়েছে। একিউএসের বেশিরভাগ সদস্য আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিক হলেও বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের অনেকেও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। 

একিউএসের এখনকার প্রধানের নাম ওসামা মাহমুদ বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আসিম উমরের মৃত্যুর পর ওসামা তার স্থলাভিষিক্ত হয়।