বিবিসি জানায়, ‘দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স’ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ভোটের ফল মোটের ওপর মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছারই প্রতিনিধিত্ব করেছে।”
২০২০ সালের নভেম্বরের ওই নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বড় জয় পায়।
সেনাবাহিনীর অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে গণহারে কারচুপি হয়েছে। যদিও তারা তাদের এ অভিযোগের পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
ভোট কারচুপির অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে এবং সু চি সহ এনএলডি-র অনেক নেতা এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে।
১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সু চিকে এখন পর্যন্ত সরাসরি দেখা যায়নি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে এবং অনলাইনে ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও সু চিকে সরাসরি কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
সু চিকে রাজধানী নেপিডোতে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আদালত থেকে সু চির বিরুদ্ধে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তাকে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
‘দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স’ এর প্রতিবেদন নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে নভেম্বরের নির্বাচনে চারশ’র বেশি ভোটকেন্দ্রে ‘দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স’ এর নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
তারা বলেন, যেভাবে ভোট হয়েছে সেখানে বেশকিছু ‘অনিয়মের’ কথা তারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ওই সব অনিয়মের বেশিরভাগের কারণ ছিল কোভিড-১৯ মহামারী এবং ভোটের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলা সংঘাত।
কিন্তু সেই অনিয়মের অর্থ এই নয় যে, ২০১৫ সালের নির্বাচন যতটা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল ২০২০ সালের নির্বাচন সেরকম ছিল না বা ভোটের ফল দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করছে না। বরং ভোটের ফল মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পরিবেশের উন্নতির কথাই বলছে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেও দুই কোটি ৭৫ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন।”
নির্বাচনী কর্মী, নির্বাচন কমিশন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সেটি সম্ভব হয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তাদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।”