রোববার থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলাকালে শুধু জরুরি পরিষেবাগুলোর সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলো কার্যক্রম সচল থাকবে বলে ঘোষণায় জানিয়েছে রাজ্যটির সরকার।
এর বাইরে সব সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কলকাতা মেট্রোসহ রাজ্যজুড়ে সব ধরনের পরিবহন পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়কারী মুদি দোকান ও বাজার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। কিন্তু মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে। পেট্রল পাম্প ও এটিএম বুথ খোলা থাকবে আর ব্যাংকিং কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সারতে হবে।
মৃতদেহ সৎকারে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না, বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। হোটেল, রেস্তরাঁ বন্ধ থাকলেও খাবার ও অন্যান্য পণ্য বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা যাবে।
লকডাউন চলাকালে ৩০ মে পর্যন্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও চা বাগানগুলো ৫০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
এ সময় কোনো সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামী ১৫ দিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যসচিব।
পশ্চিমবঙ্গে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮৪৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮০২ জনে দাঁড়িয়েছে। চলতি মহামারীতে রাজ্যটিতে বিশিষ্ট পাঁচ চিকিৎসকসহ ১২ হাজার ৯৯৩ জন মারা গেছেন।