গাজায় সহিংসতা: মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে বলল তুরস্ক

গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2021, 10:00 AM
Updated : 13 May 2021, 01:13 PM

সহিংসতা বন্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল নিন্দা জানানোয় বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর নিন্দাও করেছেন তিনি।

ওকতাই বলেছেন, “কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমনটাই দেখতে চাই আমরা।”

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে ঈদের নামাজের শেষে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তুরস্কের এ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “জাতিসংঘে একের পর এক সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবই নিন্দা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, কেননা স্পষ্ট অবস্থান প্রদর্শিত হয়নি।”

গাজায় এবারের সংঘর্ষে ইসরায়েলের শহরগুলোর দিকে হামাসের একের পর এক রকেট ছোড়ার পাল্টায় তেল আবিবকেও উপত্যকাটিতে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

সংঘর্ষে সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

দুইপক্ষের এবারের এ সংঘর্ষ ২০১৪ সালে হওয়া গাজা যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো এরই মধ্যে দুই পক্ষকে সংযত হতে আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলতে দূত পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার ওকাত বলেছেন, মুসলিম দেশগুলোরও এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে।

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা যখন মুসলিম দেশগুলোর দিকে তাকাই, তারা এ বিষয়ে একতা ও যুথবদ্ধতা দেখায় না। যারা স্পষ্ট অবস্থান দেখাচ্ছে না, তারা সবাই নির্যাতক-নিপীড়কদের পক্ষ নেওয়া দল,” বলেছেন তিনি।