যুদ্ধবিরতির আগে কাবুলের কাছে আরেকটি জেলার দখল নিল তালেবানরা

তিনদিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা দখল করে নিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 01:55 PM
Updated : 12 May 2021, 01:55 PM

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ‘আকস্মিক হামলা’ চালিয়ে ওয়ারদার প্রদেশের নের্খ জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।

এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জেলা তালেবানদের হাতে গেল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

ঈদ উপলক্ষে আফগানিস্তানে বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে; তার আগেই আফগান বাহিনী নের্খের নিয়ন্ত্রণ হারাল।

এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সেনা সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

“ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের নের্খের জেলাকেন্দ্র, পুলিশ সদরদপ্তর, গোয়েন্দা বিভাগ ও একটি বড় সেনাঘাঁটির পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।

হামলায় ‘বহু শত্রু সেনা’ হতাহত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ওয়ারদাক প্রদেশের গভর্নর আবদুল রহমান তারিকও জেলাটি হাতছাড়া হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

আফগান বাহিনী ‘কৌশলগত কারণেই সেখান থেকে পিছু হটেছে’ বলেও ভাষ্য তার।

জেলাটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে বুধবার আফগান বাহিনী বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নের্খের আগে গত ৫ মে তালেবানরা উত্তরাঞ্চলীয় বাগলান প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ বোরকা জেলাও দখল করে নেয়।

কাবুলের একটি স্কুলের বাইরে কয়েকদিন আগের বোমা হামলায় ৬৮ নিহত ও দেড় শতাধিক আহতের ঘটনায়ও আফগান সরকার সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটিকে দায়ী করছে। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল শিক্ষার্থী।

তালেবানরা বলছে, তারা স্কুলে হামলায় জড়িত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে বিদেশি জিহাদিদের ঘাঁটি হিসেবে আফগানিস্তান আর ব্যবহৃত হবে না, এমনটা নিশ্চিত করার পরই মার্কিন বাহিনী দেশটি ছাড়ছে।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও বলছেন, সরকারি বাহিনী এখন বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করতে পুরোপুরি সক্ষম।  

যদিও তার এ কথায় অনেকেই আস্থা রাখতে পারছেন না।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটি আগের তালেবান যুগের অন্ধকারে ফিরে যেতে পারে, আশঙ্কা তাদের।