মঙ্গলবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট লিংকন শহরে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই ডাস্টবিনে কেউ আছে এটি জানা না থাকায় লরিটির চালক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিনে থাকা সব ‘আবর্জনা’ লরির পেছনে ফেলেন, এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হলেও তার এক সঙ্গী বেঁচে গেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় আবর্জনা সংগ্রহের ট্রাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাস্টবিন তুলে ভেতরে থাকা সব আবর্জনা লরিতে ফেলে।
বিবিসি জানিয়েছে, শিল্পবর্জ্যের ওই ডাস্টবিনটিতে ওই অ্যাবোরজিনাল কিশোরের সঙ্গে ১১ ও ১২ বছর বয়সী আরও দুটি বালক ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একজন ডাস্টবিনটি তোলার পরই টের পেয়ে লাফিয়ে পড়েন; এতে সামান্য আহত হলেও বেঁচে যান।
কিন্তু বাকি দুই জন ডাস্টবিনের ভেতরে আটকা পড়ে যান। তাদের ট্রাকের পেছনে ফেলে দেওয়ার পর এক কিশোর আঘাত পেলেও অপরজন অক্ষত থাকেন।
মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়া ওই কিশোরকে জরুরি চিকিৎসা কর্মীরা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম।
এ তিন বালক কেন সেখানে ঘুমিয়ে ছিল সেবিষয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট কোস্ট ইয়ুথ অ্যান্ড কমিউনিটি সাপোর্ট কেন্দ্রে এ তিন বালকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল এবং কর্মীরা তাদের চিনতো বলে পোর্ট লিংকন টাইমসকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জো ক্লার্ক।
তিনি জানান, যে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে সে গৃহহীন ছিল না, কিন্তু নিজের জায়গা খুঁজে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছিল আর বহুবিধ কারণেই তারা বাইরে ঘুমাতে পারে।