বিষয়টি নিশ্চিত হতে তারা মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার ‘জিনোম সিকোয়েন্স’ করার দাবি তুলেছেন।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার জানায়, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জন অধ্যাপক এবং ২৫ জন কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এখন রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। উপাচার্য তারিক মনসুরের আশঙ্কা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশেপাশের এলাকায় করোনাভাইরাসের ভিন্ন কোনও ধরন ছড়িয়েছে। যেটা অতি সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী।
তাই ওই এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার ‘জিনোম সিকোয়েন্স’র জন্য তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চে (আইসিএমআর) চিঠি লিখেছেন।
ওই চিঠির পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য দিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি’তেও নমুনা পাঠানো হয়েছে।
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। যাদের প্রায় ১৬ হাজার জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি হলে থাকেন। ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও অনেক শিক্ষার্থীই হলে থেকে গিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
সলমন কামার নামে এক গবেষক বলেন, “গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় ওই ৫০/৬০ জনকে হলে থাকতে হচ্ছে। তাদের মা-বাবারা ফোন করে প্রতিদিনিই তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলছেন।”