কোভিড: গঙ্গা তীরে ভেসে আসছে আরো লাশ

ভারতের বিহার ও উত্তরপ্রদেশে গঙ্গা নদীতে ভেসে আসা লাশের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 04:02 PM
Updated : 11 May 2021, 04:02 PM

বিবিসি জানায়, উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার গঙ্গা তীরবর্তী গ্রাম গেহমারে গত কয়েকদিনে অর্ধশতাধিক মৃতদেহ ভেসে এসেছে।

বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা লাশের সংখ্যা ৭১টির বেশি বলে জানিয়েছেন এনডিটিভি। ভেসে আসা লাশগুলো ফুলে উঠেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে নদীতে ভাসছে।

কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে’ বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক মঙ্গলবার বিবিসি হিন্দিকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই গেহমার গ্রামে এভাবে লাশ ভেসে আসছে।

উত্তরপ্রদেশের গড়মুক্তেশ্বরে গঙ্গার তীরে করোনাভাইরাসে মৃত রাম রাস্তোগির মরদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার মেয়ে খুশি রাস্তোগি। ছবি: রয়টার্স

গ্রামবাসীদের দাবি, লাশ থেকে পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল।

কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সোমবার বিহার থেকে নদীতে লাশ ভেসে আসার খবর প্রকাশের পর কেবল তারা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

বিবিসি জানায়, সোমবার মধ্যরাত থেকে গেহমার পুলিশ লাঠি দিয়ে নদী থেকে ২৫-৩০টি লাশ ডাঙায় তুলে মাটিচাপা দিয়েছে।

কোথা থেকে এবং কীভাবে মৃতদেহগুলো সেখানে গেলো সেটা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে এনডিটিভিকে জানান গাজিপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমপি সিং।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা তথ্য পাচ্ছি, আমাদের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন এবং তদন্ত চলছে। সেগুলো কোথা থেকে এসেছে আমরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”

এর আগে সোমবার প্রশাসন থেকে বিহার ও উত্তর প্রদেশে গঙ্গা নদীর তীরে অন্তত ৪০টি লাশ ভেসে আসার খবর নিশ্চিত করা হয়।

তবে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে শতাধিক মরদেহ পাওয়ার কথাও বলা হয়। দেখে বোঝা যায়, লাশগুলো বেশ কয়েক দিন ধরে নদীতে আছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত। প্রতিদিন এত মানুষ মারা যাচ্ছে যে শ্মশান বা কবরস্থানে মৃতদেহ সৎকারে স্থান সংকুলান হচ্ছে না।

ভারত এখন করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সেখানে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছেন দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ জন।

যদিও অনেকের বিশ্বাস, প্রকৃত সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি।