স্থানীয় সময় রোববার প্রথম প্রহরে রাজ্যটির কলোরাডো স্প্রিংস এলাকার একটি মোবাইল হোম পার্কে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওই পার্কের যে ট্রেইলারটিতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল সেখানে থাকা শিশুরা হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে। হামলাকারী আতঙ্কিত শিশুদের দিকে গুলি ছুড়েনি।
এক বিবৃতিতে কলোরাডো স্প্রিংস পুলিশ বিভাগ বলেছে, “সন্দেহভাজন নিহত নারীদের মধ্যে একজনের বন্ধু ছিল। সে গাড়ি চালিয়ে ওই পার্কে যাওয়ার পর হেঁটে ট্রেইলারের ভেতরে ঢুকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের ওপর গুলি চালায় তারপর আত্মহত্যা করে।
“জন্মদিন পালনের জন্য পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুরা ও শিশুরা ট্রেইলারের ভেতরে হাজির হওয়ার পর গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয় জনকে মৃত ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পায়, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
শেষ খবর পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য নিশ্চিত হয়নি।
শহরের দক্ষিণ অংশে কলোরাডো স্প্রিংস বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এ মোবাইল হোম পার্কটিতে প্রায় ৪৭০টি ট্রেইলারে প্রধানত লাতিনো বাসিন্দারা বসবাস করেন। এলাকাটি ডেনভার থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ট্রেইলার বাড়িটির কাছে একটি মোবাইল ক্রাইম ল্যাব এনে রেখেছে তারা। এখানে একটি শিশুকে নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তাদের মধ্য থেকে ৩৩ বছর বয়সী ফ্রেডি মারকুয়েজ জানান, যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে তার শ্বাশুড়িও আছেন, তিনি নিজেও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন কিন্তু শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে চলে এসেছিলেন।
মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর ওই অনুষ্ঠানে থাকা এক নারীর ছেলে তাকে ফোন করেন, কান্নারত অবস্থায় সে বলে, “কেউ একজন এসে সবাইকে গুলি করেছে।”
ডেনভার পোস্টে দেওয়া উদ্ধৃতিতে প্রতিবেশী জেনিফার রেইস জানান, গুলি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়।
“আমি ভেবেছিলাম বজ্রপাত হচ্ছে, তখনই সাইরেনের শব্দ পেলাম।”
তিনি জানান, তখন তিনি দেখলেন পুলিশ ট্রেইলারটি থেকে শিশুদের বের করে তাদের পুলিশের একটি গাড়িতে তুলে দিচ্ছে।
“তারা চিৎকার করে কাঁদছিল,” বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ চলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল, কিন্তু সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা ফের বেড়ে গেছে।