যাতে নেপালের দিক থেকে এভারেস্টে ওঠা পর্বতারোহীদের থেকে চীনের তিব্বতের দিক দিয়ে এভারেস্টে ওঠা পর্বতারোহীদের আলাদা রাখা যায়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া রোববার এ খবর জানিয়েছে। তবে কীভাবে এ লাইন টানা হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি।
তিব্বতের স্পোর্টস ব্যুরো প্রধানের বরাত দিয়ে সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, তিব্বতে শেরপাদের একটি ছোট দল এভারেস্টে আরোহণ করে চূড়ায় ‘লাইন অব সেপারেশন’ টানবেন। যাতে সেখানে উভয় দিক থেকে ওঠা পর্বতারোহীরা পরস্পরের সংস্পর্শে আসতে না পারেন।
কীভাবে ‘সেপারেশন লাইন’ টানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করতে ২১ জন চীনা তিব্বতের অংশ দিয়ে চূড়ায় যাওয়ার পথে রয়েছেন| তাদের পৌঁছানোর আগেই শেরপারা রেখা টানার কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
নেপালের অংশে এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে এপ্রিলের শেষ দিক থেকে একের পর এক পর্বতারোহী কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো নেপাল জুড়েও এ রোগের বিস্তার অনেক বেড়ে গেছে।
নেপালের রাজস্ব আয়ের একটি বড় উৎস বিদেশ থেকে আসা পর্বতারোহীরা। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর এভারেস্ট আরোহণ বলতে গেলে বন্ধই ছিল। এবছর এপ্রিলে পর্বতারোহণের মৌসুমে নানা শর্ত সাপেক্ষে নেপাল সরকার বিদেশি পর্বতারোহীদের নেপালে যাওয়ার অনুমিত দেয়।
ওদিকে, গত বছর করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীন বিদেশি পর্বতারোহীদের তিব্বতের অংশ দিয়ে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি দিচ্ছে না।
চীনের শেরপারা এবার চূড়ায় বিভক্তি রেখা টানার পর তা তারাই কার্যকর করবেন নাকি রেখাটি সুরক্ষিত রাখতে তারা ওই মৃত্যুকূপে রয়ে যাবেন তা পরিষ্কার জানা যায়নি। এভারেস্টের চূড়ায় অক্সিজেন না থাকায় ওই অঞ্চলকে ‘ডেথ জোন’ বলা হয়। অক্সিজেনের অভাবে সেখানে অনেক পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ৮ হাজার ৮৮৪ মিটার উচ্চতার এভারেস্টের বরফ ঢাকা চূড়া এতটাই সংকীর্ণ যে সেখানে একবারে বড়জোর ছয়জন অবস্থান করতে পারেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নেপাল সরকার এখনও পর্বতারোহণ বন্ধ ঘোষণা করেনি। জুনে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত পর্বতারোহণের এই মৌসুম চলবে।
গত শুক্রবার নেপালে ৯,০২৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। যা দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের রেকর্ড।
এদিকে, চীন সরকার নিজে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার বেশ নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে। শনিবার দেশটিতে মাত্র ১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়; যাদের সবাই বিদেশফেরত।
আরও পড়ুন