শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতিতে কলোনিয়াল পাইপলাইন বলেছে, তথ্য চুরি ঠেকাতে তারা পূর্ব উপকূলে যাওয়া জ্বালানির ৪৫ শতাংশ সরবরাহকারী সাড়ে ৫ হাজার মাইল দীর্ঘ লাইন বন্ধ করে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি অবকাঠামোর সাইবার নিরাপত্তা যে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তা ফুটে উঠেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
শুক্রবার দিনের বেলাতেই ওই পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছিল; তবে সেটি সরাসরি সাইবার হামলার কারণে নাকি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানই কার্যক্রম একটু একটু করে সীমিত করে আনছিল, তা সেসময় স্পষ্ট ছিল না।
শনিবার কলোনিয়াল পাইপলাইন জানায়, তাদের করপোরেট কম্পিউটার নেটওয়ার্ক র্যানসমওয়্যার হামলার কবলে পড়েছে। হ্যাকাররা পাইপলাইনের সংবেদনশীল অংশে হামলা চালানোর মতো তথ্য নিয়ে নিতে পারে, এ শঙ্কায় সাবধানতার অংশ হিসেবেই পাইপলাইনটি ‘শাটডাউন’ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
র্যানসমওয়্যার হামলায় হ্যাকাররা মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জিম্মি করে রাখে।
পাইপলাইনে এই সাইবার হামলার পেছনে কোনো দেশ নয় বরং একটি ‘সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র’ জড়িত বলেই কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
হ্যাকাররা বৃহস্পতিবার থেকেই ওই পাইপলাইনে হামলা শুরু করে এবং তারা বিপুল পরিমাণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে বলে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা আছে এমন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ।
হ্যাকারদেরকে মুক্তিপণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানায় কলোনিয়াল। কবে থেকে পাইপলাইনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে, সে বিষয়েও কিছু বলেনি তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় জ্বালানি পাইপলাইনে সাইবার হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রশাসন কিছুদিনের মধ্যেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অবকাঠামোর সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিস্তৃত আকারের নির্বাহী আদেশ দিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ও চীনের সাইবার হামলাও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রভাবশালী কোম্পানি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে হতভম্ব করে দিয়েছে, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।